বিজয়ের পঞ্চাশেও অবহেলিত তারা

  বিজয়ের ৫০ বছর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
লালমাটিয়া বধ্যভূমি

লালমাটিয়া বধ্যভূমি

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চাশ পেরিয়ে বিজয়ের একান্ন বছরে পা রাখেছে বাংলাদেশ। অথচ যারা এ বিজয় এনে দিয়েছে তাদের গণকবর আজও অরক্ষিত। পঞ্চাশ বছেরও সিলেটের বড় এ দুটি বধ্যভূমি রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অবহেলা আর উদাসীনতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমিগুলো নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। এই দুই বধ্যভূমির কোনোটিতেই নেই পতকা উত্তোলনের বেদি এবং নামফলক।

বধ্যভূমি দুটি সিলেট শহরতলির বড়শালা সিলেট ক্যাডেট কলেজের পেছনের কাকুয়ারপাড় টিলা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পারাইরচক লালমাটিয়া এলাকায় অবস্থিত। সেখানে দুই সহস্রাধিক মুক্তিকামী বাঙালিকে হত্যার পর গণকবর দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা।

কাকুয়ারপাড় বধ্যভূমি
টিলাবেষ্টিত স্মারকস্তম্ভ। স্থানটিতে অসংখ্য নারীদের গণকবর। এখানে নারীদের ধরে এনে শ্লীলতাহানী করে হত্যা করা হয়েছিল। অথচ এই স্থানটিতে একটি স্মারকস্তম্ভ তৈরি করেই দায়সারা। স্থানটিতে অসংখ্য গণকবর থাকলেও কোনো শহীদরেই নামফলকের কোনো চিহ্ন নেই। গবেষকরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে জীবন্ত করে রাখতে হবে।

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্মারকস্তম্ভের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছ ময়লা-আবর্জনা। দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে ঘুমিয়ে আছেন মুক্তিযোদ্ধারা। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সন্ধ্যা নামতেই সেখানে মাদকসেবিদের আড্ডা বসে। চারপাশ টিলাবেষ্টিত হওয়ায় মাদকাসক্তরা নিরাপদ মনে করে এই স্থানটি বেছে নিয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সিলেট ক্যাডেট কলেজে (তৎকালীন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল) ছিল পাকিস্তানি সেনাদের ঘাঁটি। সেখানে বহু নারী মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মুক্তিকামী মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হতো পেছনের টিলার জঙ্গলে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরও এসব এলাকায় মানুষের হাড়, মাথার খুলি পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয়রা। গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি সেখানে নামফলক স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

কাকুয়ারপাড় বধ্যভূমি

জানা যায়, টিলাভূমির প্রায় ১১ দশমিক ৪৮ শতক জায়গায় রয়েছে গণকবর। সিলেট ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০০৭ সালে পুরো জায়গাটি চিহ্নিত করে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ স্মারকস্তম্ভ নির্মাণ করে। পরের বছর ২৩ নভেম্বর প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষে বিজয় দিবস থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করে।

লালমাটিয়া বধ্যভূমি
সেখানে ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ও চৌকি। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে এই বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হায়েনারা। আর তাদের সহোযোগীতা করে এদেশীয় রাজাকার-আলবদররা। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা জানান, সে সময় পাকিস্তানি হানাদাররা শহরের লোকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে সেখানে হত্যা করত। এরপর সেখানে গণকবর দিত। একেকটি গণকবরে ১৫ থেকে ২০ জন করে মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সেসময় প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সারি সারি গণকবরে চাপা দেওয়া হয়েছিল মুক্তিকামী অগণিত বাঙালির মরদেহ। অনেকের মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল সড়কের বাম পাশের কচুরিপানা ভর্তি ডোবায়। গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণে সেখানে অতি শিগগিরই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় আরেক মুক্তিযোদ্ধা জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদাররা এখানে তাঁবু টাঙিয়ে ঘাঁটি গেড়েছিলো। শুধু এ অঞ্চলের মানুষই নয়, শহরমুখী লোকজনকে দূর-দূরান্ত থেকে ধরে এনে হত্যা করে গণকবর দিতো তারা। তিনি বলেন, প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা জুড়ে গণকবর। এসব গণকবরে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছিলো পাকিস্তানী সেনারা। এ বধ্যভূমি সংরক্ষণে সরকারি বিভিন্ন দফতরে বিভিন্ন সময় দাবি জানানো হয়েছে।

সিলেট জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল জানান, লালমাটিয়া বধ্যভূমি অনেক উদ্যোগ নিয়েও সংরক্ষণ করা যায়নি। কয়েক বছর আগে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি সাইনবোর্ড সাটানো হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিংবা স্থানীয় প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি বলেন, কাকুয়ারপাড় এলাকার বধ্যভূমিতে সিলেট ক্যাডেট কলেজের উদ্যোগে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেটিও অরক্ষিত। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘লালমাটিয়া বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। আশা করি আগামী বিজয় দিবসের আগেই সিলেটের বড় এ বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজ দৃশ্যমান হবে। আর কাকুয়ারপাড় এলাকার বধ্যভূমি সিলেট ক্যাডেট কলেজ দেখভাল হরছে। সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেটিও রক্ষিত কী না সেটা কলেজ কতৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।’

   

মেট্রোরেল দেওয়ায় 'থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা' জানিয়ে শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেট্রোরেল দেওয়ায় 'থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা' জানিয়ে শোভাযাত্রা

মেট্রোরেল দেওয়ায় 'থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা' জানিয়ে শোভাযাত্রা

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে শিল্পীরা গাইছে 'সবকটা জানালা খুলে দাওনা, আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের গান' অন্যদিকে চিত্রশিল্পীরা আঁকাআঁকিতে তুলে ধরছে মেট্রোরেল এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাযজ্ঞকে। আরেকটু দূরে গেলেই দেখা যাচ্ছে 'আমাদের মেট্রোরেল দেওয়ায় ধন্যবাদ শেখ হাসিনা' লেখা ব্যানারে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলছে। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর শুরু হয় নৃত্য। যখন এসব কর্মকাণ্ড সেখানে চলমান তখন একটু পর পর মাথার ওপর দিয়ে চলাচল করছে রাজধানী বাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল।

শনিবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মেট্রোরেল দেওয়ায় 'থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা' নামক ব্যতিক্রমী আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগ। আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ শেখ হাসিনা দেওয়া প্লেকার্ড নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে উপস্থিত হয় রাজু ভাস্কর্য এলাকায়।

অনুষ্ঠান শুরু হয় বিজয়ের গানে গানে। সেখানে এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এসময় তিনি বলেন, "আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। আপনারা যারা এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা। আমরা কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি আমাদের মাথার উপর দিয়ে মেট্রোরেল চলে যাবে। এই স্বপ্নকে সত্যি করেছে শেখ হাসিনা"।

তিনি বলেন, " প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুপরিকল্পিত নেতৃত্বে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছে। তার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু স্বনির্ভরতার প্রতীক। মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আবারো থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা"।

পরে অনুষ্ঠিত হয় র‍্যালী। র‍্যালীতে ব্যান্ডদলের বাজনার সাথে সাথে টিএসসি মোড় থেকে প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ হয়ে টিএসসি মেট্রোরেল স্টেশনে এসে শেষ হয়।

এছাড়া দিনব্যাপী আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ রয়েছে নানা আয়োজন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

ভূমিকম্পে কুমিল্লার দুই শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী আহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ভূমিকম্পে কুমিল্লার দুই শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী আহত হয়েছেন

ভূমিকম্পে কুমিল্লার দুই শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী আহত হয়েছেন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমির শার্ট গার্মেন্টেসের দুই শতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। 

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট গার্মেন্টে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। 

তিনি বলেন, আহতদের সেবায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত কতজন ভর্তি হয়েছেন সেটার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে এ সংখ্যা দুই শতাধিক হবে। এছাড়া একের পর এক আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা জানান, ভূমিকম্পে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

এছাড়াও কুমিল্লা ইপিজেড ও কুমিল্লা মহিলা কলেজে আহত হয়ে চারজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৫। এর উৎপত্তিস্থল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

যুবলীগ নেতার বাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণীর অনশন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সিরাজগঞ্জে চাকরির প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলামের বিরুদ্ধে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) এখনও ওই নারী যুবলীগ নেতার বাড়িতে অনশনে রয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের ভেটুয়া জগন্নাথ গ্রামের নির্যাতিত ওই নারী।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার সিংড়াবাড়ী গ্রামের শাহ আলীর ছেলে যুবলীগসম্প্রতি বিয়ের জন্য ওই নারী চাপ সৃষ্টি করলে আসলাম সুকৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রচার করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। নির্যাতিত নারী আরও চাপ দেওয়ায় তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার পরিবারের একজনের মোবাইলে পাঠিয়ে দেন। আপত্তিকর ভিডিও দেখে তাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে ওই নারীর পরিবার।

যুবলীগ নেতা মেরে ফেলার হুমকিতে পারিবারিক, সামাজিক ও জীবননাশের আশঙ্কায় প্রশাসন, পুলিশ ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে বিচার ও নিরাপত্তা চাইছেন।

এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার চাকরি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। আর ওই নারীকে আমি চিনি না।

এ ব্যাপারে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত জানান, এই বিষয়ে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

কোম্পানীগঞ্জে দোকানে দেশীয় অস্ত্র হামলার ভিডিও ভাইরাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: ভাইরাল ভিডিও

ছবি: ভাইরাল ভিডিও

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল বাজারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি দোকানে হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দোকানের মালিকসহ উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়েছে।  

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গাংচিল বাজারের রাজ গার্মেন্টেসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাংচিল বাজারে ডাবের ব্যবসা করেন মুসলিম নামে এক ব্যক্তি। ছোট একটি ছেলে তার ব্যবসা পরিচালনা করে। গাংচিল বাজার কমিটির সেক্রেটারী রাজিব খানের আত্মীয় তারেক ওই ছোট ছেলে ডিপ টিউবয়েল বসানোর কাজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।  এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গাংচিল বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গাংচিল বাজার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি রাজিব খানের মাথায় আঘাত করে মুসলিমের পরিবারের লোকজন। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে রাজিবের স্বজনেরা মুসলিমের ভাতিজা মো.শাহরাজ উদ্দিনের দোকানে রামদা নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। এতে তাদের পরিবারের পাঁচজন আহত হয়।  

ভুক্তভোগী রাজ গার্মেন্টেসের মালিক মো.শাহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, চাঁদা না পেয়ে গাংচিল বাজার কমিটির সেক্রেটারি রাজিব ও স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার (৪৫) সবুজ (২৮) তারেক (২৮) ও জাকের (২৯) রামদা নিয়ে এ হামলা চালায়। ইতিমধ্যে হামলার ২মিনিট ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।  

চাঁদা দাবির অভিযোগ নাকচ করে দেয়ে রাজিব খান দাবি করেন তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে প্রথমে তারা তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরো তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।  

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি।  বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  বিজয়ের ৫০ বছর

;