দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষকের শিল্পকর্ম

  বিজয়ের ৫০ বছর



ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) থেকে ফিরে, দৃষ্টি নন্দিত কারুকার্য শোভিত সবুজ ফসলের মাঠ। যেখানে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে দেশের বিভিন্ন চিত্র। যে মাটির ঘাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে লাল হয়েছিল বাংলাদেশের জমিন। যে মাটিতে মিশে আছে শহীদের রক্ত। সেই মাটির ফসলের মাঠে কৃষক ফুটিয়ে তুলেছেন লাল সবুজের পতাকা ও শহীদ মিনার ৷ ১৬ ডিসেম্বরে উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য।

শাকসবজি দিয়ে তৈরি করেছেন শহীদ মিনার

বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে তিনি সাজিয়ে তুলেন তার জমি। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষেও তিনি সাজিয়েছেন তার ফসলের জমি। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ফসলের মাঠে এমনি শিল্পকর্ম তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন এক কৃষক। এই চিত্র দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে মানুষ। দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফিরে আসছেন দর্শনার্থীরা। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে উন্মুক্ত থাকবে এই ফসলের মাঠ।

ঘাস দিয়ে তৈরি করেছেন দেশের মানচিত্র

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে ফসলের মাঠে কৃষক রুমান আলী তৈরি করেছেন শিল্পকর্ম। নিজের এক একর ১৪ শতাংশ জমিতে ঘাস এবং শাক সবজি দিয়ে সুনিপুণ কারুকার্য তৈরি করেছেন। মানুষজন তার জমিতে এসে ছবি তুলছেন। লাল শাক, ঘাস দিয়ে তৈরি হয়েছে শিল্পকর্মটি।

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষকের শিল্পকর্ম

এ বিষয়ে কৃষক রুমান আলী বার্তা ২৪.কম-কে বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি এটি করেছি। এছাড়াও কৃষি কাজের প্রতি বর্তমান সময়ের তরুণদের আকৃষ্ট করাটাও লক্ষ্য ছিল। দেশকে ভালোবাসি। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্য আমি আমার এ কাজ সপে দিলাম।

  বিজয়ের ৫০ বছর

গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্বস্তিকর গরমের মধ্যে দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সারা দেশের মানুষের। এই পরিস্থিতিতে কোনো সুখবর দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিসও। বলছে, সহসা এই তাপদাহ কমার লক্ষণ নেই। অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো গরম চলবে আরও কয়েকদিন।

তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে রাজধানী ঢাকার মানুষের ত্রাহি অবস্থা। শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপ অনুভূত হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

খিলক্ষেতের বাসিন্দা আজওয়াদ রহমান বলেন, রাতে ১২টার দিকে কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একঘণ্টা পর আসে। এরপর ফের ৩টার দিকে বিদ্যুৎ যায়। দিনে প্রায় ৩ থেকে ৪ বার একঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।

পান্থপথের বাসিন্দা রহিম শেখ বলেন, আমি যে বাড়িতে থাকি সে বাড়িতে কোনো আলো বাতাস ঢোকে না। এরপর তীব্র গরমে রাতে দু’বার করে বিদ্যুৎ থাকে না। গরমে অতিষ্ট। ঘুমতো দূরের কথা হাঁসফাঁস লাগে। আমার বাসায় বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন। এত গরম বাবার উচ্চ রক্ত চাপ দেখা দেয়।

তিনি বলেন, সারারাত ঘুম হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপর আবার সকালে অফিসে যেতে হয়।

শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে।

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, শনিবার (৩ জুন) দুপুর ১২টায় প্রায় ১৪ হাজার (১৩৯২১) মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৬৭৪ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২৪৭ মেগাওয়াট।

এদিকে, গতকাল শনিবার সাভারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি অংশ আগে থেকেই বন্ধ আছে। আগামী ৫ জুনের পর আরেকটি অংশও বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে।

নসরুল হামিদ বলেন, তেলের ব্যাপারেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইভার্ট করছি বেশিরভাগ গ্যাস। আর গরম বেড়ে গেছে, ৩৮ ডিগ্রির উপরে চলে গেছে, কোনও কোনও জায়গায় ৪০-৪১ ডিগ্রি হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে, ফলে লোডশেডিংও বেড়েছে। কিছু দিন এ পরিস্থিতি থাকবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ জায়গায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপপ্রবাহ চলতে পারে আরও চার থেকে পাঁচ দিন।

সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, সারা দেশের কোথাও তীব্র এবং কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন চলতে পারে। তবে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দু–এক জায়গায় সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন, আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে আজ রোববার। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তঃনগর ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন।

রেলওয়ে সূত্র মতে, চিলাহাটি-ঢাকা পথে দিবাকালীন চলাচল করবে নীলফামারী এক্সপ্রেস।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়কে। এ খবরে জেলাবাসী আনন্দিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ট্রেনটির নীলফামারী এক্সপ্রেস নামকরণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা।

তবে এ জেলার ২১ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দের দাবিও উঠেছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের দায়িত্বশীল এক সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ট্রেনটির ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৪ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর চিলাহাটি থেকে ঢাকার পথে ছাড়বে ট্রেনটি। শনিবার বাদে সপ্তাহে ছয় দিন নিয়মিত চলবে।

ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ঢাকার উদ্দেশে চলবে দিনে এবং ঢাকা থেকে চিলাহাটির উদ্দেশে চলবে রাতে। সকাল ৬টায় চিলাহাটি স্টেশন ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চিলাহাটি পৌঁছাবে রাত পৌনে ২টায়। চিলাহাটির পর ট্রেনটির যাত্রাবিরতি নির্ধারিত হয়েছে ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, ঈশ্বরদী বাইপাস ও বিমানবন্দর স্টেশন। চীন থেকে আমদানি করা ১১টি কোচ বিশিষ্ট ট্রেনের আসনসংখ্যা সাড়ে সাত শতাধিক।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

কমিউনিটি ক্লিনিকে পাওয়া যাবে উচ্চ রক্তচাপ-ডায়াবেটিসের ওষুধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৪ মে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকা হালনাগাদ কমিটি এক বৈঠকে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য অ্যামালোডিপাইন ৫মিলি ও ডায়াবেটিসের জন্য ‘মেটফরমিন ৫০০ মিলি.’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা মোকাবিলায় একটি বড় পদক্ষেপ।

এটি বলছে, বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপ ও উচ্চরক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ও মৃত্যু ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক স্তরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ উপলব্ধ করার সিদ্ধান্ত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এই বিষয়ে একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি হতে পারে।

উল্লেখ্য, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং এর অংশীদার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রগ্রেস) বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে যাতে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধক ওষুধের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়। কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যমান ওষুধের তালিকা; উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে বহু মাস (২ থেকে ৩ মাস) হাইপারটেনসিভ ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমান করেছে যে বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মানুষ (৩০-৭০ বছর বয়সী) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুই তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।

উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

চা শিল্পের উন্নয়নে নিশ্চিত শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর



বার্তা ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চা শিল্পের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাই শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, চা শিল্পের উন্নয়ন ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে চা বাগান মালিক ও বিপণনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং আন্তরিকভাবে কাজ করে এ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ প্রত্যাশার কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় চা দিবস' উদযাপন হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প,’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের প্রসারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বৃহৎ বাগানের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে ক্ষুদ্র পরিসরে চা চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর এ অঞ্চলের বাগানগুলো চা উৎপাদনের অতীত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র দেশের উত্তরাঞ্চলে ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ ১৭.৭৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। তার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।

জাতির পিতা চা শ্রমিকদের শ্রমকল্যাণ যেমন- বিনামূল্যে বাসস্থান, সুপেয় পানি, প্রাথমিক শিক্ষা এবং রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাগান মালিকদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি চা শ্রমিকদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং ভোটাধিকার প্রদান করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা-২০২২’ এর আলোকে এবছর জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদানের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। এতে চা বাগান মালিক, চা শ্রমিক, চা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অণুপ্রেরণা যোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;