আসুন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে আরও এগিয়ে নিই

  বিজয়ের ৫০ বছর



বাসস
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বহু প্রতীক্ষিত বিজয় অর্জন করি। এ বছর দেশবাসী আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, যা বাঙালির বিজয়োৎসবে যোগ করেছে অনন্য এক মাত্রা। আনন্দঘন এ মুহূর্তে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।

বিজয়ের এ দিনে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশী বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা বাঙালি জাতির বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জন জাতিকে এনে দিয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। তবে এ অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ উপ্ত হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্যস্বাধীন দেশে ফিরে জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন কৃষি বিপ্লবের। আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতি, কালোবাজারি, মুনাফাখোরী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের আপনজনদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়। রুদ্ধ হয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের।

তিনি বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে সরকার ‘ভিশন ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির ফলে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছে বৃটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু এখন সমাপ্তির পথে। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী বহুমুখী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন।

তিনি বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাসী। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের প্রবাসী ভাইবোনেরা তাদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স দেশে প্রেরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। জাতি তাদের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি মানব সভ্যতাকে ইতিহাসের এক চরম বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও থামিয়ে দিতে পারেনি। সরকারের সময়োচিত ও দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যু হারও শূন্যের কাছাকাছি। করোনা নিরাময়ে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১-দফা নির্দেশনা, সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে তিনি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

তিনি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

এশিয়ান পেইন্টস এর ‘বিউটিফুল হোমস’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করলেন সাকিব আল হাসান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পেইন্ট ম্যানুফেকচারার এশিয়ান পেইন্টস প্রতিষ্ঠানটির আয়োজিত গৃহসজ্জা (হোম ডেকর) বিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘বিউটিফুল হোমস ২০২৩’ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। নান্দনিক গৃহসজ্জাকে আরো অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশজুড়ে গ্রাহকদের এই ক্যাম্পেইন এ আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। রাজধানী ঢাকায় আজ এক বর্ণিল আয়োজনে বৈশ্বিক আইকন ও বাংলাদেশ টি২০ ক্রিকেট স্কোয়াডের দলনেতা এবং এশিয়ান পেইন্টস এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান বিজয়ীদের কাছে পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এর ম্যানেজমেন্ট টিম এর কান্ট্রি হেড বুধাদিত্য মুখার্জিসহ প্রসিদ্ধ স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং ‘বিউটিফুল হোম কনটেস্ট’ এর বিজয়ীরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো যোগদান করেন- ডিলার, সেইফ ইজি পেইন্টিং সার্ভিস প্রোভাইডাররা, যারা গ্রাহকের একটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ির সজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

‘বিউটিফুল হোমস’ প্রতিযোগিতার প্রথম বিজয়ী ‘ঢাকা-দুবাই-ঢাকা’ এয়ার টিকিট জিতে নিয়েছেন। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম বিজয়ীরা পেয়েছেন ‘ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা’ এয়ার টিকিট এবং ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম বিজয়ীরা জিতে নিয়েছেন ‘ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা’ এয়ার টিকিট। এছাড়া, শীর্ষ দশ বিজয়ী বৈশ্বিক আইকন সাকিব আল হাসান এর সঙ্গে ডিনারের বিশেষ সুযোগ লাভ করেছেন।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এশিয়ান পেইন্টস এর ‘সেইফ ইজি পেইন্টিং সার্ভিস’-এর একটি এক্সপার্ট টিম তিন শ জনেরও বেশি গ্রাহকের বাড়িতে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত লাক্সারি রেঞ্জ এর পণ্য, রঙ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন সম্পর্কে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে গৃহসজ্জায় ভূমিকা রেখেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যেসব গ্রাহক এই সেবা গ্রহণ করেছেন, তারা এশিয়ান পেইন্টস এর কাছে তাদের নব-সজ্জিত বাড়ির ছবি জমা দিয়েছেন এবং স্থপতিদের একটি বিশেষ জুরি প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসাবে ১০টি সুন্দর বাড়ি নির্বাচন করেছেন। জুরি বোর্ডের নেতৃত্বে ছিলেন টিকেএনআরকে'র আর্কিটেক্ট পার্টনার তানিয়া তাজিন করিম এবং একদল ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও স্থপতিরা। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে একটি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারকমণ্ডলীরা প্রতিযোগিতার জন্য সেরা ১০ টি সুন্দর বাড়ি বেছে নিয়েছেন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

ভোট ডাকাতির দায় স্বীকার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী

হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ২০১৯ সালে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আটটি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছেন বলে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তিনি উখিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী পথসভায় এমন বক্তব্য দেন ইমরুল কায়েস চৌধুরী। ইমরুল কায়েসের দেওয়া এই বক্তব্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এছাড়া জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায়ও প্রচার হয়।

বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আসলে ইমরুল কায়েসের বক্তব্যের বিষয়ে তদন্ত করে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দৈনিক পত্রিকায় ৮ জুন প্রকাশিত সংবাদে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলকে উদ্দেশ্য করে ইমরুল কায়েস বলেন, কায়সারুল হক জুয়েল তুমি একজন অকৃতজ্ঞ ও অমানুষ। কারণ গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গিয়ে তোমার জন্য আটটি কেন্দ্রে আমি ভোট ডাকাতি করেছি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগকে তৎপর হতে পরামর্শ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণ যাতে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পায় সে লক্ষ্যে বিচার বিভাগকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২’ পেশ করার সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন ব্রিফিংয়ে জানান, রাষ্ট্রপ্রধান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলাকারীদের ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে বিচারাধীন মামলাগুলি হ্রাস করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করার সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর পরামর্শ দেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের বিচার বিভাগ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ সময় তিনি নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচার স্বল্পতা ও অবকাঠামো সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। বিচার বিভাগ যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের ও আশ্বাস দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নেই: রাষ্ট্রদূত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়ার কোন হস্তক্ষেপ নেই। তাই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।

সম্প্রতি গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ এবং রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা দেশসমূহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত করছে।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে রাশিয়ার সহায়তায় তৈরি পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে কিংবা বাধাগ্রস্ত হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলতি বছরের অক্টোবরেই পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল মোতাবেক পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ শুরু করবে রাশিয়া। পাবনার কাছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২ দশমিক ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। ইতিমধ্যেই ২০২০-২০২১ সালে এই প্ল্যান্টের উভয় রি-এ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, রাশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রে সফলভাবে কূপ খনন করছে। সম্প্রতি ভোলা দ্বীপে ২০তম কূপ খননের কাজ শেষ হয়েছে। গ্যাজপ্রম বাংলাদেশে তার কার্যক্রমের পরিধি আরও বাড়াতে ইচ্ছুক।রাশিয়া বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে আমাদের সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম সরবরাহ করেছে, যা বাংলাদেশের আমদানির ৪২ শতাংশ। এছাড়া, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়াই বাংলাদেশের পটাশ সারের অন্যতম প্রধান রফতানিকারী দেশে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে রাশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্য রফতানির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এবং রাশিয়ান কোম্পানি ন্যাশনাল গ্রুপ এলএলসি-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় আলু এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা যাবে। তিনি বলেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ, পাট, চামড়া এবং সামুদ্রিক খাবারের চাহিদা রয়েছে এবং এর যথেষ্ট সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন নুরুল আলম, মো. শহীদুল ইসলাম, বিপুল বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন খোকন, হাজেরা শিউলী, নুরউদ্দিন আলমগীর এবং হামিদুল ইসলাম।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;