আমি বিজয় দেখছি

  বিজয়ের ৫০ বছর



তুষার আবদুল্লাহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক আশ্চর্য মাস ডিসেম্বর। এবার বিজয়ের রজত জয়ন্তী বলেই যে ডিসেম্বর সুন্দর, তা নয়। বাংলাদেশের চেয়ে বয়সে ছোট হলেও, তার হাত ধরে বড় হতে হতে দেখেছি- ফেব্রুয়ারি, মার্চ, ডিসেম্বর কতো রূপময়। স্বৈরাচার যখন দেশকে খামচে রেখেছিল, তখনও এই লাবণ্য কমেনি। বরং আরো উচ্ছ্বল ছিল বাংলাদেশ। ডিসেম্বরের রূপ বেশি কেন? উত্তরসরল, সহজ। ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাইলফলকে পৌঁছে দিয়েছে। সার্বভৌম বাংলাদেশতো একবেলাতে চলে আসেনি। স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতা আছে। একের পর এক বাঁধ ডিঙিয়ে বাংলাদেশ বিজয়ের মাইলফলকে পৌঁছতে পেরেছিল। কিন্তু একাত্তরের ডিসেম্বরেই বিজয় পূর্ণতা পায়নি। বরং ষোল ডিসেম্বর বিজয়ের আরো কিছু পথরেখা সামনে চলে আসে বাংলাদেশের। সেই গন্তব্যে যাত্রা শুরুর সময়ও ডিসেম্বর।

বিজয়ের স্বাদ নেওয়ার সময় থেকেই জানি, ঘরে আমাদের বিভীষণ রয়ে গেছে। তারা আমাদের মুক্তির স্বাদ নিতে প্রতি পায়ে পায়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। লড়াই চলছে এখনও তাদের সঙ্গে। সেই লড়াই রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করে দিয়েছিল শুরু থেকেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে রাজনীতি বারবার চ্যুত হওয়ায় বিভাজন বেড়েছে। কোন কোন শত্রু প্রকাশ্য, তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু যারা আছেন উদযাপন, উৎসব, মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে মিশে তাদের ৫০ বছরে আলাদা করা যায়নি। বরং তারা বারবার মিশে গেছে, হারিয়ে গেছে, ভেসে আছে জোয়ারে। শুদ্ধ, শুভ রাজনীতি এবং অথনৈতিক মুক্তির আন্দোলনে তারাই এখন সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতিকে বিতর্কিত করে তুলতে তারা সক্রিয়। বিজয়ের ৫০ এসে দেখছি মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় নিয়ে তাদের বাচলতা ও মুখরতা। যা দেখে লজ্জা, ক্ষোভে আলোর পথের মূল যাত্রীরা সরে আছেন, আড়ালে আছেন। কিন্তু বাংলাদেশকে বিজয়ের মূল স্বাদ পেতে হলে আলোর পথের মূল যাত্রীদেরকেই বিজয় যাত্রার অগ্রভাগে থাকতে হবে।

শহর গ্রাম ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাসে এবারেও মুগ্ধ আমি। দেখছি শুধু রাজধানী ঢাকাতেই নয়, জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রামের আইল ধরে যাচ্ছে পতাকা। মাত্র ফসল তুলে নিয়েছে কৃষক। কোথাও কোথাও এখনও মাঠে এখনও কাটা ধান পড়ে আছে। শীতের সবজিও আছে মাঠে। তার মাঝ দিয়েই  চলে যাচ্ছে পতাকার ফেরিওয়ালা। আসলে তিনি হয়তো রুজির জন্য পতাকা ফেরি করছেন, কিন্তু বাঙালি, এই জনপদের সকল মানুষইতো লাল সবুজের ফেরিওয়ালা। সবাই যারযার অবস্থান থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বা দূতের কাজটি করছি। আসলে করছি বলার চেয়ে করার কথা, বলা ভালো। আসলে আমরা এই প্রতিনিধিত্বের কাজটি করার ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার কাজটিই করছি বেশি। বৃহত্তর স্বার্থ রূপ পেয়েছে গোষ্ঠী ও ব্যাক্তি স্বার্থে। ফলে দুর্নীতি, সম্পদ পাচারের মতো অনৈতিক কাজের সঙ্গে এই ৫০ বছরে আমাদের আত্মীয়তা দৃঢ় হয়েছে। এই আত্মীয়তা কোনভাবেই বিজয় উদযাপনের আনন্দে পূর্ণতা দিতে পারে না।

তবে পূর্ণতা আসবে। স্বাদু হবে বিজয়। এই দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে। যার বীজ বপন করেছে তারুণ্য। তরুণদের নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই আমাদের। তারা আলসে, দেশ প্রেম কম,  মাদক- ইন্টারনেট আসক্তিতে ডুবে আছে, স্বার্থপর, স্বপ্নহীন-এই যে অভিযোগ গুলো এর দায় কিন্তু পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের। আমাদের অভিভাবকত্বের ত্রুটিই ওদের হতাশায় ডুবিয়েছে। দিকভ্রান্ত করেছে। ওদের সামনে থেকে আমরাই লক্ষ্য, স্বপ্ন ও বিজয়ের মাইলফলক সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তরুণদের কাছে এই চাতুরী করতে গিয়ে হেরে গেছি আমরা। ওরা ঠিকই চিনে নিয়েছে বিজয়ের পথ। চারদিকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ওদের সাফল্যের উচ্ছ্বাস। এগিয়ে যাচ্ছে ওরা। ওদের গতি, দুরন্তপনা দেখে মুগ্ধ আমি। আমার ভালোলাগার, গৌরবের এবং ওদের নিয়ে  স্বপ্ন দেখার মূল রহস্যটি হলো-ওরা হেঁটে যাচ্ছে, দৌঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের হাত ধরেই। অতএব বিজয় পূর্ণতা পাবেই। আসছে একাত্তরে দেখা বিজয়। অপেক্ষা করুণ, কড়া নাড়ার শব্দ পাবেন শিগগির।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

   

বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুল তার



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুল রাখার জন্য ভারতের উত্তরপ্রদেশের নাগরিক স্মিতা শ্রীবাস্তব (৪৬) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যমটি প্রতিবেদনে জানায়, স্মিতা ১৪ বছর বয়স থেকে তার চুল কাটা থেকে বিরত রয়েছেন। এখন তার চুলের দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি। তিনি ১৯৮০-এর দশকে হিন্দি অভিনেত্রীদের দ্বারা আইকনিক লম্বা চুলের স্টাইলে অনুপ্রাণিত হয়ে চুল বড় রাখার সিদ্ধান্ত নেন। যা তাকে এখন রেকর্ড বইয়ে স্থান করে দিয়েছে।

স্মিতা বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে, দেবীদের ঐতিহ্যগতভাবে খুব লম্বা চুল ছিল। আমাদের সমাজে চুল কাটা অশুভ বলে মনে করা হয়, তাই নারীরা চুল কাটতেন না। আর তাছাড়াও লম্বা চুল মহিলাদের সৌন্দর্য বাড়ায়।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, স্মিতা সাধারণত প্রতি সপ্তাহে দুবার চুল ধুয়ে ফেলেন। ধোয়া, শুকানো, ডিট্যাংলিং এবং স্টাইলিংসহ পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রতিবার তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নেন। তিনি এটি ধোয়ার জন্য ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যয় করেন। তারপর সোজা করার জন্য তার হাত ব্যবহার করার আগে একটি তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নেন, যা করতে সাধারণত দুই ঘণ্টা সময় লাগে।

স্মিতা আরও বলেন,আমি যখনই চুল ছেড়ে বাইরে বের হই তখন আশেপাশের মানুষ "আশ্চর্য" হয়ে যায়। চুল এত লম্বা করা কঠিন বলে মনে করেন তারা। এবং তার বছরের পর বছর ধরে চুল না কাটার বিষয়টি সবাই অবিশ্বাস করেন।

৪৬ বছরের এই নারী জানান, আমার চুল দেখার পর সবাই কাছে এসে চুলে হাত স্পর্শ করে, অনেকে সেলফি তোলে এবং আমি যে পণ্যগুলো ব্যবহার করি সে সম্পর্কে জানতে চায়। আমি তাদের সে সম্পর্কে বলি এবং তারাও সেসব পণ্য ব্যবহার করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন।

স্মিতা এখন এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব অর্জন করতে পেরে আনন্দিত, তিনি বলেন, ঈশ্বর আমার প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

যখন বয়স কোনো বাঁধাই নয়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ বয়সে রান্নার ভিডিও দিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন তিনি

বৃদ্ধ বয়সে রান্নার ভিডিও দিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন তিনি

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনকার যুগে সকলের জীবন ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ। সময়ের অভাবে প্রতিদিন আমরা নিজেদের পছন্দের ও শখের কাজ করতে পারি না। কত মানুষ অভিযোগ করে, বয়সের জন্য এটা ওটা করতে পারছেন না। অনেকে তো বয়স বাড়ার কারণে হালই ছেড়ে দেন। কিন্তু কোনো কাজ মন থেকে করতে চাইলে বয়স বা সময় কোনো বাঁধা হতে পারে না। ইচ্ছাশক্তি থাকলে এখনই উপযুক্ত সময়। আবারও মিললো তার প্রমাণ।

সম্প্রতি ইউটিউবে একের পর এক রান্না সম্পর্কীয় ভিডিও দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বিজয় নিশ্চল। তিনি একজন ভারতীয় বৃদ্ধা। ৮৫ বছর বয়সে এক নতুন যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। অদ্ভুত শিরোনাম দিয়ে ইউটিউবে রান্নার ভিডিও দিয়ে দর্শকের নজরে পড়েছেন নিশ্চল। ৯০ সেকেন্ডের ভিডিওতে, সহজ রেসিপিগুলো দিয়ে তিনি এই প্রজন্মের মন জয় করে নিচ্ছেন।

নিশ্চল তার বাবার কাছে ছোটবেলায় রান্না শিখেছিলেন। সেই প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তার নাতি তাকে ইউটিউব চ্যানেল খোলার বুদ্ধি দেয়। বর্তমানে ইন্সটাগ্রামে তার ৮,৩১,০০০ ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে। এ এক দৃষ্টান্ত, নিজের মন আর ইচ্ছাকে অনুসরণ করলে বয়স কখনো বাঁধা হতে পারে না।

সম্প্রতি তিনি ডিমবিহীন এক কেকের রেসিপি তার চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। সাধারণত, ডিম দিয়েই কেক বানানো হয়। কারণ ডিম কেক ফোলায় এবং কেকে ফ্লেভার প্রদান করে। গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ ছাড়াও সুস্বাদু কেক বানিয়েছেন তিনি। মাত্র ১০ দিনে ১.১ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে ভিডিওটি। কমেন্ট বক্সে প্রশংসায় ভাসছে তার অনুসারীরা। কেউ বলছে, বর্তমান অর্ধেক টিনএজারদের চেয়ে দাদী বেশি কুল। আরেকজন বলেছে, কুলেস্ট দাদী এভার!

এরপূর্বেও, “ডান্সিং দাদী” খ্যাত ভারতীয় নৃত্যশিল্পী রবি বালা প্রমাণ করেছিলেন বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। তুখোড় নৃত্যশৈলীর কারণে ইন্টারনেটে প্রশংসার ঝড় তুলেছিলেন তিনি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

নদীপথে ফিরল সেই ইতিহাস



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
নদীপথে ফিরল সেই ইতিহাস

নদীপথে ফিরল সেই ইতিহাস

  • Font increase
  • Font Decrease

হাওড়া (কলকাতা) থেকে: যে স্বাতন্ত্র্য বঙ্গীয় বদ্বীপকে বিশ্বে আলাদা করে পরিচিত করেছে যুগে যুগে, বলতে বললে কোন চিন্তা না করেই বলে দেওয়া যাবে- সেই স্বাতন্ত্র্য হচ্ছে -পরম মমতায় আগলে রাখা অজস্র নদ-নদী এই জনপদের সবচেয়ে বড় স্বাতন্ত্র্য। নদীবিধৌত এই জনপদের জনজীবনের যে আখ্যান রচিত হয়েছে কালজয়ী সব সাহিত্যে, তাকে অনন্য না বলবার কোন উপায় আছে? এই অঞ্চলের মানুষের ক্রমবিকাশ যে নদ-নদীর ওপর কতোটা আবর্তিত হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

গণমানুষের জীবন ও জীবিকার সহায় হওয়া নদী যে কেবল বিচিত্র মৎস্য সম্পদ আর বয়ে আনা পলিতে উর্বর কৃষি ভূমিই দান করে চলেছে তাই নয়; গোটা অঞ্চলকেই চমৎকার যোগাযোগের সুঁতোয় বেঁধেছে এই নদীই। পরধনলোভী শাসকদের জন্যও বাধা হয়েছে এ নদী। নদীকে নিয়ে যে মহাকাব্য-তা হয়তো অতীতের মতো আগামীও রচনা করেই চলবে।


বুধবার সকালে ফের এক ঐতিহাসিক নৌযাত্রা শুরু হলো ঢাকার অদূরে পাগলা জেটি থেকে। বুড়িগঙ্গায় সূচনা করে শীতলক্ষা, মেঘনা-কীর্তনখোলা হয়ে খুলনা অঞ্চলের মধ্য দিয়ে কার্ণিভাল ক্রুজের নৌযান ‘রাজারহাট সি’ যাত্রা করেছে কলকাতার পথে। সাত দশক পূর্বে এই নৌরুটে যাত্রাবাহী নৌযান চলাচল করতো নিয়মিতই। অখণ্ড স্বদেশে নৌ যাতায়াতের সেই গল্প উৎকীর্ণ আছে বহু সাহিত্য আর জীবনালেখ্যে। কিন্তু সে সবই আজ অতীত। খণ্ডিত স্বদেশে অভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির পূর্ব আর পশ্চিমের ঐতিহাসিক নৌরুট থমকে ছিল বহুদিন। বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের সদিচ্ছায় হওয়া চুক্তি সত্ত্বেও নানা জটিলতায় আটকে ছিল যাত্রী পরিবহণ। বাধা কাটিয়ে আশার আলো হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কার্ণিভাল ক্রুজ চালু করল নৌযান রাজারহাট সি।


মূলতঃ নদীপিপাসু পরিব্রাজক ও কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে যাত্রা করা এই নৌযান বুধবার রওনা হয়ে শুক্রবার দুপুরে পৌঁছাচ্ছে কলকাতায়। বহুল প্রতীক্ষিত এই যাত্রায় নদীর পথে পথে যে তীরবর্তী অধিবাসীদের জীবন ও প্রকৃতির যে রূপ ধরা দিয়েছে তাতে শহুরে বাসিন্দা অভিযাত্রীরা মুগ্ধতার সঙ্গে কেবল একটি কথাই উচ্চারণ করছেন, ‘একই তো দেশ, দেখতে একই রকম’।

যাত্রা পথে সুন্দরবনের দুই দেশের অংশ পেরুতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। যাত্রীদের বিস্ময় বাড়ে, এতো বড় বন হয়! শহুরে বাসিন্দাদের এই ধারণাই নেই যে কত বিপুল জলরাশি অনাদিকাল থেকে নিরবে বয়ে চলছে। নদ-নদীকে ক্রমাগত ‘হত্যা’ করে চলা আমরা হয়তো ভারতেই পারি না, তবুও এতো বিস্তৃত নৌপথ আছে আমাদের!


প্রায় আড়াই দিনের একমুখি যাত্রায় যাত্রীরা জেলেদের মৎস্য শিকার দেখেছেন, দেখেছেন সূর্যোদয়, দেখেছেন শুশুকের হঠাৎ জেগে উঠা। মাঝপথে নদীর পোয়া মাছ সংগ্রহ করে রাতের নৈশভোজের স্বাদ নিয়ে ফের নদীর মাছ সংগ্রহে ব্যাকুলতা, কিংবা নাব্যতা সংকটে কোথাও নৌযান আটকে যাওয়া-এমন নানা ঘটনায়, গল্পে-আড্ডায় নদীর হিমেল আলিঙ্গনে এই নৌযাত্রা যে সকল আরোহীর মনে চিরকালের মতো দাগ কেটে থাকবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। সেই সঙ্গে আপ্লুত আরোহীদের কণ্ঠে শুধুই শোনা গেছে, সার্ভিসটি আবার বন্ধ হয়ে যাবে না তো?

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

চলন্ত ট্রেনেই বিয়ে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেমন্ত শেষে উঁকি দিচ্ছে শীতের আবহ। এই সময়টা বিয়ের মৌসুম হিসেবে প্রচলিত। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ভরে উঠে নবদম্পতিদের ছবি, ভিডিওতে। বাজেট অনুযায়ী এক এক যুগলের বিয়ের আয়োজন ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলেও ট্রেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এমন ঘটনা কখনো শোনা না গেলেও সেটাও এখন দৃশ্যপটে। এমন দৃশ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন ভারতের এক যুগল। সম্প্রতি তাদের বিয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায় চলন্ত ট্রেনে এক দম্পতি সনাতন রীতিমতো মালাবদল করে সিঁদুরদানের পর গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে। 

ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়নি। দেশটির বেশকিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, যখন ছেলেটি মেয়েটির গলায় একটি মঙ্গলসূত্র বেঁধেছিল তখন উপস্থিত জনতা হাততালির মাধ্যমে তাদের নবদাম্পত্য জীবনকে স্বাগত জানাচ্ছে। পরে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে একে অন্যকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়।

তবে আসানসোল থেকে জসিডিগামী ট্রেনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হলেও সেটা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এই অস্বাভাবিক বিয়ের ভাইরাল ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রচুর মন্তব্যের জন্ম দিয়েছে। যদিও অনেকে এই দম্পতিকে শুভ কামনা জানালেও অনেকেই আবার এটাকে মজার বিষয় হিসেবে নিয়েছেন।

"মাল্টি-পারপাস ইন্ডিয়ান রেলওয়ের," একজন এক্স (আগের নাম টুইটার) ব্যবহারকারী নবদম্পতিকে শুভকামনা জানিয়ে লিখেছেন, বাজেট অনুযায়ী তাদের এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানাই।

আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, বিয়ে যেখানেই হোক সবশেষে পরিপূর্ণতা পেলো তাদের ভালোবাসা।

এমন ঘটনাকে নাটক বলে আখ্যা দিয়ে একজন লিখেছেন, এটা সবটাই নাটক। লোক দেখানো কাজ।

তবে ইতিবাচক বা নেতিবাচক এই ঘটনা নিয়ে যেমন বিতর্কই হোক না কেন সেসব এক পাশে রেখে, এই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনি কি ভাবছেন?

  বিজয়ের ৫০ বছর

;