বদলে যাবে কুষ্টিয়ার পান ও কলা চাষিদের ভাগ্য

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার


এস এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
বদলে দেবে কুষ্টিয়ার পান ও কলা চাষীদের ভাগ্য

বদলে দেবে কুষ্টিয়ার পান ও কলা চাষীদের ভাগ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে বদলে দেবে কুষ্টিয়ার পান ও কলা চাষিদের ভাগ্য। সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুরে কলার হাটে কৃষক শেখ আবু তাহের মিয়া প্রতি কাঁদি কলা বিক্রি করছিলেন ৭০০ টাকা দরে। কলা চাষি আনারুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় ২০ বছর যাবৎ কলার আবাদ করেন। প্রতি বছরই তিনি ২০ থেকে ২২ বিঘা জমিতে চাপা কলার আবাদ করেন। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থায় দূরত্বের কারণে তার চাহিদা অনুযায়ী লাভ হয় না।

কুষ্টিয়া থেকে সহজে কলা নিয়ে পরিবহনে যাওয়ার মতো তার সাধ্য নেই। দূরত্ব অনেক, ঝুঁকিও রয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে তিনিসহ কুষ্টিয়ার কলা চাষিরা আগের দিন কলা কেটে পরদিন খুব ভোরে নিজেরাই ট্রাক ঠিক করে রাজধানী ঢাকা ও চট্রগ্রাম এলাকায় নিয়ে যেতে পারবেন এবং লাভও পাবেন অনেক বেশি।

ঠিক এমনি ভাবে কুষ্টিয়ার পান চাষিরা অপেক্ষায় রয়েছেন। কেননা “ষোল চাষে মুলা, তার অর্ধেক তুলা; তার অর্ধেক ধান, বিনা চাষে পান।” ভেঁড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঠাকুর দৌলতপুর এলাকার পান চাষি আব্দুর রহমান জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরেই পান চাষ করি। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কুষ্টিয়ার মিরপুরে হাটে বসে পান পাইকারী দরে বিক্রি করতে হয়। এতে চাষ দিয়ে খুব একটা লাভ হয় না। পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে রাজধানী ঢাকা, চট্রগ্রামে পান নিয়ে যেতে পারলে অনেক বেশি লাভ হতো কিন্তু রাজবাড়ী দৌলতদিয়া, যমুনা সেতু পার হয়ে পান নিয়ে ঢাকা ও চট্রগ্রামে পৌঁছে তা বিক্রি করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

তিনি এ বছর দুই বিঘা জমিতে “বাংলাপান” জাতের পানের চাষ করেছেন। দুই বিঘা জমিতে তার প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকলে এ লাভের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতো। কৃষক মহিবুল জানান, রাজধানী ঢাকাসহ অন্যখানে নিয়ে গেলে অন্তত ১০ থেকে ১২ টাকা হালি পাইকারি ভাবেই বিক্রি করা সম্ভব হবে।


কুষ্টিয়া কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিষ্ণু পদ সাহা বলেন, মধুপুর কলার হাট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন প্রচুর কলার আমদানি হয় তবে ফড়িয়াদের কারণে তারা ভালো দাম পায় না। যোগাযোগের কারণে নিজেরা কলা রাজধানীতে নিয়ে যেতে পারে না, ফলে হাটে বসেই কলা পাইকারীতে বিক্রি করতে হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে কুষ্টিয়ার কলা চাষিরা কুষ্টিয়ার কলা দেশের বাইরে রাজধানী-ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যেতে পারবে এবং লাভবানও হবেন বলে তিনি আশা বাদ ব্যক্ত করেন।

লাভ ছাড়াও ভেষজ গুণের কারণে পানের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া বাংলার ঐতিহ্যে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে ও পূজা-পার্বণেও রয়েছে পানের কদর।

কুষ্টিয়ার মাটি পান চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এবং পানের বাজার দর ভালো থাকায় পান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পানে লাভও বেশি হয়। কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলায় ২ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়েছিল ভেঁড়ামারা উপজেলায়।

এ বছর ভেঁড়ামারা উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, দৌলতপুর উপজেলায় ৫৩৬ হেক্টর, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৬২০ হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ১৬০ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ৮২ হেক্টর এবং কুমারখালী উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়।

বাংলা পান, মিঠা পান, দেশি পান, ঝালি পান, সাচি পান, কর্পূরী পান, গ্যাচ পান, মাঘি পান, উজানী পান, নাতিয়াবাসুত পান, বরিশাল পান, উচ্চ ফলনশীল ও বিভিন্ন গুণাবলী সম্পন্ন। স্বাদ ও সুগন্ধিযুক্ত এ জাতের পানের বাজারে রয়েছে বেশ চাহিদা।

ভেঁড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঠাকুর দৌলতপুর এলাকার পান চাষি আব্দুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই পান চাষ করি। তবে সরাসরি ঢাকা-চট্রগাম ও সিলেটে নিয়ে যেতে পারি না বলে খুব একটা লাভ হতো না। পদ্মা সেতু চালু হলে আমি নিজেই পান ঢাকা, চট্রগ্রামে নিয়ে যেতে পারবো এবং লাভও পাব বলে আশা করি। আবার যদি ফড়িয়ারাও নেয় পদ্মা সেতুর কারণে এখনকার চেয়ে দাম বেশি দেবে তারা। এখন তাদের খরচ বেশি হয় ফলে আমাদের দাম দেয় কম তখন খরচ কম হবে আমরাও দাম পাবো বেশি।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, অর্থকারী ফসলের মধ্যে পান একটি লাভজনক ফসল। কুষ্টিয়ার পান সারা দেশের মধ্যে বিখ্যাত ছিল। তবে গত কয়েক বছর আগে পানের বিভিন্ন রোগের কারণে পান চাষিদের লোকসান হয়। অপরদিকে পরিবহন খাতে ব্যয় বেশি হওয়ায় তারা ভালো লাভ পায় না। পদ্মা সেতু চালু হলে এখান থেকে সরাসরি ঢাকা-চট্রগ্রামে চাষি ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে কম খরচে পান নিয়ে যেতে পারবে এতে কৃষক ও পাইকারী ব্যবসায়ী সকলে লাভবান হবেন কুষ্টিয়ার কৃষি অর্থনীতিতে এর একটা সুফল পড়বে বলে তিনি জানান।

এমনি ভাবেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে কুষ্টিয়ার কলা, পান, সবজি, গরু, ছাগল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়ায় খরচ কমবে লাভ বেশি হবে। অর্থনীতিতে একটা সুফল পড়বে।

   

মৃত্যুর আগের দিনও স্বপ্ন দেখতে হবে: সমবায় মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। মৃত্যুর আগের দিনও স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে ২১০০ সাল পর্যন্ত কিন্তু ততদিন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেচে থাকার সম্ভাবনা নাই, আমার বেচে থাকার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু স্বপ্নটা আমাকে শক্তি দিয়েছে বেচে থাকার জন্য, কাজ করার জন্য। যেদিন মৃত্যু হবে সেদিনও যেনো স্বপ্ন নিয়ে মরতে পারি।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে 'নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন' এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের এখন জনসংখ্যা লভ্যাংশ। তাই সেই তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা সবাই তাকিয়ে আছি। যুব সমাজকে যদি গড়ে তুলতে পারি তাহলে তারা দেশ ও জাতীর জন্য কাজ করবেন। তার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্বপ্ন থাকতে হবে, সাহস থাকতে হবে। যে কোন কিছুতে চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহসিকতা থাকতে হবে।

অন্য যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রম ও নৈতিকতার দিক দিয়ে অনেক ভাল মন্তব্য করে সমবায় মন্ত্রী বলেন, আমরা কেউই ফেরেশতা নয়, আল্লাহ আমাদের মানুষ বানিয়েছেন, ফেরেশতা নয়। ধর্ম যায় হউক মানুষ সবচেয়ে বড় সত্য। ১৮ লক্ষ মাখলুকাতের মধ্যে মানুষকেই আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার খাওয়া, আমার কাপড়, আমার পড়াশোনার ব্যবস্থা আমিই করবো। আমি যদি আমার খরচ বহন করতে পারি তাহলে আমার পরিবারের মাঝে আমার চাপ কম হবে। আমি দায়বদ্ধ না অন্যজনের জন্য করার, দায়বদ্ধতা তখন আসবে যখন আমার সক্ষমতা আসবে। অতএব মানুষের জন্য কাজ করবো, মানুষের কল্যাণে কাজ করবো।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

মিয়ানমার থেকে ৪০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৪০ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

শুক্রবার (৩ মে) মধ্যরাতে সাবরাংরাংয়ের আচার বুনিয়া দিয়ে ১৪ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এছাড়া নাজির পাড়া দিয়ে আরও ৪ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেয়।

নির্ভর যোগ্য সূত্র বলছে, শুক্রবার রাতে দুই দফায় আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। তারপর বাস যোগে প্রথম ১৪ জনকে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়। এদিন রাতে আরও ২২ জনকে একই স্থানে রাখা হয়। বাকি ৪ জনকে নিরস্ত্রকরণ করে একই স্থানে রাখা হবে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: এখনো শেষ হয়নি উদ্ধার কাজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর জাংশনের কাজী পাড়া এলাকায় আউটার সিগন্যালে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রেলের লাইনচ্যুত বগি ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি। তবে অপর পাশের রেল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

শনিবার (৪ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত বগি গুলো উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ট্রেনের পিছনের বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ধীরাশ্রম ও জয়দেবপুর জাংশনে নেয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের বড় দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী একটি ট্রেনের সাথে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

ঘটনার পরপরই গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি তৈরি করার পাশাপাশি স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বহিষ্কার করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে
ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী একটি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জাংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত দুটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি গুলো এক এক করে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে তেলবাহী ট্রেনের বগিগুলোতে তেল থাকায় উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আউটার সিগন্যালে দুর্ঘটনা ঘটনায় পাশের আপ লাইন দিয়ে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়েছে। দুপুরের পরপরই উদ্ধার কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, ৩ লাখ টাকা জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি (টপসয়েল) কেটে ইটভাটায় বিক্রির দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল পাটোয়ারীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভবিষ্যতে মাটি কেটে ইটভাটা বিক্রি করবে না শর্তে তিনি মুচলেকাও দিয়েছেন।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম। এসময় ওসি সোলাইমানও উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তিনি উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম পাটোয়ারীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু ও তার ভাই বিল্লাল হোসেনসহ স্বজনদের একাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটায় আশপাশের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে আনা হয়। এতে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি এখন পুকুরে পরিণত হয়েছে। ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের একটি বিল (ফসলি জমি) থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হয়েছে। ফসলে বিস্তীর্ণ মাঠটিতে এখন ছোট বড় প্রায় ২০০টি পুকুর দেখা যাচ্ছে। এ মাটি কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত দুলালকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে ভেক্যু মেশিন জব্দ করা হয়। 

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, অভিযুক্তকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ইটভাটায় বিক্রির দায়ে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে মাটি কাটবে না শর্তে তার থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;