ভোলায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছে মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল


ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
শেল্টারগুলোতে আসতে শুরু করেছে এলাকাবাসী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শেল্টারগুলোতে আসতে শুরু করেছে এলাকাবাসী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ কয়েকশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সকল বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯২টি মেডিকেল টিম। জেলার সকল অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দুপুর থেকে বৃষ্টির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ ছাড়া দুর্গম চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নগদ ১০ লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিকটন চাল এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক আরও জানান, ভোলার ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চরনিজামসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে অন্তত ২ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে। গবাদি পশুর নিরাপত্তার জন্য জেলায় ৩৯টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ৬৬৮টি কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের জন্য সকাল, দুপুর এবং রাতে খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগসমূহের কর্মকর্তাদেরকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রাখা হয়েছে।

   

চলন্ত অটোরিকশার চাকা ব্লাস্ট হয়ে চালকের মৃত্যু



স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চলন্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশার চাকা ব্লাস্ট হয়ে ওসমান গনি (৪০) নামের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত অটোরিকশাচালক ওসমান গনি পটিয়ার চরকানাইয়ের আদমপাড়া এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মিলিটারিপুল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের ভাতিজা মো. রাদেশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার চাচা অটোরিকশা চালায়। আজকে হঠাৎ অটোরিকশার চাকা ব্লাস্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, সিএনজির চাকা খুলে দুর্ঘটনায় আহত হন ওসমান। তাকে চমেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: এক এক করে সরানো হচ্ছে রেলের বগি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর জাংশনের কাজী পাড়া এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রেলের লাইনচ্যুত বগি এক এক করে সরিয়ে নিচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উদ্ধারকারী একটি ক্রেনসহ ঘটনাস্থলে পৌছায় দলটি। পরে বিকেল ৪ টা থেকে তারা উদ্ধার কাজে তৎপরতা চালানো হয়।

এর আগে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী একটি ট্রেনের সাথে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চালকসহ কয়েকজন আহত হলেও নিহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনার পরপরই গাজীপুর জেলা প্রশাসক পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জাংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত দুটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি গুলো এক এক করে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে তেলবাহী ট্রেনের বগিগুলোতে তেল থাকায় উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার ৩ ঘন্টা পর থেকে অপর পাশের রেল সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ট্রেন চলাচল করছে।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

জমিতে পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তার, প্রাণ গেল বৃদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জমিতে ছিঁড়ে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে সাবা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ডাক্তার কাশেমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাবা খাতুন ওই এলাকার মোহাম্মদ কালুর স্ত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানায়, সাবা খাতুন বিকেলে গরুর জন্য জমিতে ঘাস কাটতে যান। এরপর সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে গেলে জমিতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মৃত অবস্থায় পায়।

এদিন বিকেল চারটার দিকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ওই তারটি ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে একাধিকবার জানালেও তারা তা ঠিক করতে আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীরা এই মৃত্যুর জন্য পল্লী বিদ্যুতের অবহেলাকে দায়ী করছেন।

মো. সরওয়ার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই মহিলাটি মারা যাওয়ার আগে অর্থাৎ দিনে তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে দেখে আমি বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে অভিযোগ দিয়েছি। তারা আসতেছি বলে আর আসেনি। তখন আসলে হয়ত এই মহিলাটি মারা যেত না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আবুল হাসেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ওই এলাকায় জমিতে বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে যাওয়া একটি তার ছিঁড়ে পড়েছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা বিদ্যুত অফিসকে জানালেও কোনো লোক আসেনি। এদিকে বিকেলে জমিতে ওই মহিলা জমিতে ঘাস কাটতে যায়। মহিলাটি তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। সন্ধ্যায় বিল থেকে ঘরে না ফেরায় খুঁজতে গিয়ে পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আমি বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ডিজিএম (ফটিকছড়ি জোনাল অফিস) আব্দুস ছালামকে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

নাম ফলকে বাংলা লেখার অনুরোধ ডিএসসিসির, নইলে ব্যবস্থা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, রাস্তার নাম, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলায় লেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এই নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার (৩ মে) সম্প্রতি এক গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানিয়েছে ডিএসসিসি। সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ওই গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সকল প্রতিষ্ঠানের নাম ফলক, চিহ্ন ফলক বাংলা ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, রাস্তার নাম, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক বাংলায় লেখার জন্য অনুরোধ করা হলো। এর ব্যত্যয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;