নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারাল বাংলাদেশ
ক্রিকেট কার্নিভালএকে প্রতিশোধ বলবেন?
কেন? গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা ভুলে গেলেন বুঝি? নাহ, এই ম্যাচটাকে কোনোভাবেই প্রতিশোধের উপলক্ষ হিসেবে নেয়নি বাংলাদেশ। সুপার এইটই ছিল লক্ষ্যে। নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে সে যাত্রায় আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলল আজ বাংলাদেশ।
শেষ আটে যেতে হলে ম্যাচটা জিততে হতো বাংলাদেশকে। শুরুতে ব্যাট করে ওপেনিং ব্যর্থ হলেও চারে নামা সাকিব আল হাসান দলের হাল ধরেন। তানজিদ হাসান তামিমকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। ৩৬ রান করা তামিমের বিদায়ের কিছু পরেই তাওহীদ হৃদয়ও ফিরে যান।
এরপর মাহমুদউল্লাহ দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন, তবে তিনিও ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফেরেন ডেথ ওভারের ঠিক শুরুতে। শেষটা করেন সাকিব আর জাকের আলী অনিক। সাকিব ক্যারিয়ারের ১৩তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন। ওপাশে জাকের আলী অনিক ৭ বলে ১৪ রান করে দলকে দেন ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি। তবে আর্নস ভেল স্টেডিয়ামের উইকেট যেমন আচরণ করছিল তাতে এমন রানকে যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না।
বিশেষ করে বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের দারুণ শুরুর পর তো বটেই। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ দুটো উইকেট পেয়েছিল তাসকিন আহমেদ আর তানজিম সাকিবের কল্যাণে। তবে এরপরও বিক্রমজিত সিংয়ের ব্যাট বাংলাদেশকে দিচ্ছিল চোখরাঙানি। সাকিবকে দুটো, আর রিশাদকে একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অঘটনের। তবে তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মাহমুদউল্লাহ।
যদিও এরপর সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট আর অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস মিলে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে। তাদের জুটি একটা সময় সমীকরণটা নিয়ে আসে ৩৪ বলে ৪৯ রানে। সেখান থেকে ম্যাচটা বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। এক ওভারে এঙ্গেলব্রেখট আর বাস ডি লিডাকে ফেরান তিনি। সে ওভার থেকে দেন ৭ রান। এরপর মুস্তাফিজ ১৭তম ওভারে এসে ১ রান দিয়ে নিলেন ১ উইকেট। সেই ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি ডাচরা। শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের হাতে ছিল ৩২ রান, তিনি ৭টির বেশি রান দেননি, উল্টো একটা উইকেটও নিয়েছেন। বাংলাদেশ তাই মাঠ ছাড়ে ২৫ রানের স্বস্তির এক জয় নিয়ে।