আফগানদের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার বললেন কাইফ 

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি আফগানিস্তান বরাবরই বেশ শক্তিশালী। তবে এখন পর্যন্ত তাদের অর্জনের খাতাটা শূন্য। বা তেমন চমক দেখানোর মতো কিছু করেনি। তবে সবাই চমকে গিয়েছিল বিশ্বকাপের আগে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার এক প্রেডিকশনে। তিনি আফগানদের দেখেন সেমিতে। এ নিয়ে অনেকেই শুরু করেছিল আলোচনা। তবে রশিদরা জবাবটা দিলেন ঠিকই। নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারানো ছাড়াও গ্রুপপর্বে নিজেদের শুরু তিন ম্যাচেই জিতেছে তারা। এতেই সুপার এইটে টিকিট তো কেটেছেই, সঙ্গে তাদের নিয়ে বাকি দলগুলোকে ভাবতেও বাধ্য করেছে আফগানরা। 

ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ এবার আফগানদের নিয়ে আশা বাঁধলেন আরও বড়। তার মতে রশিদদের বিশ্বকাপ জয়ের অনেক সম্ভাবনা আছে। 

স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে আলাপকালে কাইফ বলেন, ‘আফগানিস্তান ভালো ফর্মে আছে। তাদের বোলাররা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। ফজলহক ফারুকী তো এক ম্যাচে পাঁচ উইকেটও তুলেছেন এবং রশিদ খানও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের কথা যদি বলি, তারা দারুণ ফর্মে আছেন। আমার কাছে তো মনে হয় আফগানিস্তান এই কন্ডিশনে বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম দাবিদার।’

আফগানরা তাদের সব ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তাদের পড়তে হয়নি আমেরিকা ভ্রমণের ঝামেলায় এবং ক্যারিবিয়ান পিচ সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণাও হয়ে গেছে। এটি তাদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক ছিল বলেও জানান কাইফ, ‘তারা তাদের সবগুলা ম্যাচই এখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজে) খেলছে। তারা মোটেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায়নি। এখানে দুই-তিন সপ্তাহ কাটানোয় তারা জানে কোন পিচে কেমন বোলিং করতে হবে আর কোন পিচে ব্যাটিং। তারা কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। আর তাছাড়া তাদের খেলোয়াড়রাও দুর্দান্ত ফর্ম রয়েছে।’

একের পর এক চমক দেখিয়ে আফগানরা এখন অপেক্ষায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবার। আগামী ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান। যেখানে জয় পেয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে পা রাখবে দলটি।

   

রাজার মূল্যায়ন পত্রে ১০-এ ৫ বাবর

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভরাডুবি দেখতে হয়েছে পাকিস্তানকে। গ্রুপপর্বের বৈতরণী পেরোতে পারেনি দলটি। তাদের হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো আইসিসি সহযোগী দল। স্বাভাবিকভাবেই তাই বাবর-রিজওয়ানরা পড়েছে ব্যাপক সমালোচনার মুখে।

পাকিস্তান দলের সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক বোর্ড প্রধান রমিজ রাজা তো ক্রিকেটারদের নিয়ে মূল্যায়নও করেছেন। মার্কিং করেছেন ১০ এর মধ্যে কে কত পাবেন। আর সেই মার্কিং করতে গিয়েই অধিনায়ক বাবরকে ৫ এর বেশি দিতে পারেননি তিনি। স্টারস্পোর্টসের আলাপচারিতায় এমনটিই জানিয়েছেন রাজা।

বাবরের নেতৃত্ব নিয়ে রাজা বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে সম্ভবত একটি বা দুটি নাম্বার দেওয়া যেতে পারে এবং বোলিং সম্ভবত ছয়। আমি তাকে (বাবরকে) পাঁচ নম্বর দেব কারণ অধিনায়ক হিসেবে সে দলের মতোই করেছে। কেননা, যখন দল বোলিং করে তখনই অধিনায়কত্ব আসে। আর আমার কাছে মনে হয় বোলিং বিভাগে পাকিস্তান, খুব খারাপ করেনি। সে তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে কিন্তু অন্যদেরও চেষ্টা করতে হয়েছে।’

পাকিস্তানের এই ভরাডুবির পেছনে নির্বাচকদেরও দায় দেখেন রাজা। বলেন, ‘দল নির্বাচনে কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না। তাদের প্রস্তুতি ছিল অগোছালো কারণ তারা জানত না কে ইনিংস ওপেন করতে যাচ্ছে। তারা পরীক্ষামূলক মোডে ছিল অনেক দিন। এছাড়াও তাদের অবসর নেওয়া খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। যদিও তারা ভাল করেছে। তবে এটা সিস্টেম সম্পর্কে কী বার্তা দেয়?’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

‘সময় নষ্ট করবেন না গ্যারি, ভারতের কোচ হয়ে ফিরে আসুন’

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ভারতের সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী কোচ গ্যারি কারস্টেনকে নিয়োগ দিয়েছিল পাকিস্তান। প্রত্যাশা করা হচ্ছিল দলকে সেরা সাফল্য এনে দেবেন কারস্টেন। তবে সেটি হয়নি। গত আসরের ফাইনাল খেলা পাকিস্তান দল এবার পেরতে পারেনি গ্রুপপর্বের বৈতরণী। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে গড়তে হয়েছে দলটির ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের। আর এই অবস্থায় কারস্টেনকে নতুন পথ দেখালেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে পুনরায় ভারতীয় দলের কোচের চেয়ারে বসতে বলেছেন তাকে।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ভরাডুবির কারণ হিসেবে সংবাদ মাধ্যম পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদন ও সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ খান, কারস্টেনের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান দলে কোনো ঐক্য নেই। তারা দল বললেও আসলে এটি কোনে দল নয়। কেউই একে অপরকে সমর্থন করে না। সবাই আলাদা, বাম এবং ডান। আমি অনেক দলের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু কোথাও এমন পরিস্থিতি কখনো দেখিনি।’

ফরিদ খানের এমন পোস্ট নিজের এক্সে শেয়ার করেছেন কারস্টেনের অধীনে ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য হরভজন সিং। নিজের সাবেক কোচের এমন পরিস্থিতি দেখে ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এক্সে হরভজন বলেন, ‘সেখানে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না গ্যারি .. টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবে ফিরে আসুন .. গ্যারি কারস্টেন বিরল হিরা। সে সেরা কোচ, মেন্টর ও সৎ; যার সঙ্গে ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। গ্যারি একজন বিশেষ মানুষ।’

হরভজন ঠিক এমন সময়ে এসে কারস্টেনকে কোচ হিসেবে ফিরে আসার প্রস্তাব দিলেন যখন ভারতও তাদের কোচ খুঁজছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে বেশ সমালোচিত হতে হচ্ছে কারস্টেনকে। তবে কি, কারস্টেনকে দেখা যেতে পারে ভারতের প্রধান কোচের চেয়ারে? সেই প্রশ্নটা না হয় তোলা থাক সময়ের জন্যই।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

১ ওভারে ৩৬, পুরান ভাঙলেন যত রেকর্ড

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটাররা বলে বলে চার ছক্কা হাঁকাতে, দর্শক মাতাবে এমনটাই তো প্রত্যাশিত। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা মিলছিল না তেমনটি। বরং ম্যাড়ম্যাড়ে লো স্কোরিং ম্যাচের সাক্ষী হতে হচ্ছিল সমর্থকদের। তবে অবশেষে দেখা মিলেছে ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডব। সবশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। এমন ম্যাচে ১৭ বছর আগের পুরনো একটা রেকর্ডও নিজের নামের পাশে বসিয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। সঙ্গে নিজের করেছেন আরও বেশ কিছু রেকর্ড।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইনিংসের ৪র্থ ওভারটি করতে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার ওপরই তাণ্ডব চালিয়েছেন পুরান। এক ওভারে তুলেছেন ৩৬ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভারগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে ২০০৭ সালে এক ওভারে ৩৬ রান দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সেবার এই রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের সাবেক তারকা যুবরাজ সিং। তিনি অবশ্য ৬ বলে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন।

নিকোলাস পুরান অবশ্য ৬টি ছক্কা হাঁকাননি। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করলেও পরের বলটি ছিল নো বল। যেখানেও চার হাঁকিয়েছেন পুরান। পরের বল ফ্রি হিট হলে সেটা ওয়াইড হয়। এবং বাউন্ডারি হওয়ায় আরও অতিরিক্ত চার রান আসে। তাই পরের বলটাও ছিল ফ্রি হিট, সেবার বোল্ড হন পুরান। আউট হওয়া থেকে বাঁচার পর পরের দুই বলে চার আর শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন পুরান। সব মিলিয়ে এই ওভার থেকে আসে ৩৬ রান। তবে পুরানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান।

পুরানের এমন ব্যাটিং তাণ্ডবে পাওয়ারপ্লেতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ৯২ রান যোগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন অবশ্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুরতে হয়েছে পুরানকে। ৫৩ বলে ৯৮ রানে শেষ পর্যন্ত রান আউটে থামতে হয়েছে তাকে। যদিও ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২১৮ রান। অবশ্য তার আগে আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা এখন তার। ইনিংসে ৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে ক্রিস গেইলের ১২৪ টি ছক্কার রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ১২৮ ছক্কা এখন পুরানের।

জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে আফগানরা অলআউট হয় ১১৪ রান তুলে। ফলে গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের চারটিতেই জয় তুলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সুপার এইটে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেই ২০০৭। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেবার বাংলাদেশ খেলেছিল সুপার এইটে। এরপর থেকে বাংলাদেশ আর কখনও সুপার এইট পর্বে খেলতে পারেনি। প্রায় ১৭ বছর পর এসে সে বৃত্তটা ভাঙল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তিন জয় নিয়ে চলে এসেছে সুপার এইটে। এবার নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। সে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে আজই বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে অ্যান্টিগায়। 

সুপার এইট পর্বটা একটা চ্যালেঞ্জ অবশ্যই। বাংলাদেশের সামনে আরও একটা চ্যালেঞ্জ আছে। সুপার এইট পর্বে প্রথম জয়টা তুলে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। সেটা জয়ের সুযোগ বাংলাদেশ পাচ্ছে আগামী ২১ জুনই। সেদিন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে দল।

পরের ম্যাচটা ভারতের বিপক্ষ। ২২ জুন মাঠে গড়াবে ম্যাচটা। সে ম্যাচ দুটো মাঠে গড়াবে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে। ম্যাচগুলো খেলতে বাংলাদেশ আজ পৌঁছে গেছে অ্যান্টিগায়।

আজ অবশ্য কোনো অনুশীলন নেই দলের। কাল থেকে শুরু হবে সে ম্যাচদুটোর প্রস্তুতি। 

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;