বিতর্কিত ক্যাচ নিয়ে নিজেই মুখ খুললেন সূর্য

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে ডেভিড মিলারকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। মূলত সেই ক্যাচটিই ভারতের জয়ে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে। সেই ক্যাচটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই ক্যাচটিই ভারতকে শিরোপা এনে দিয়েছে।

সূর্যকুমারের এমন ক্যাচের পর থেকেই তা নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেরই দাবী, ক্যাচ নেওয়ার সময় সীমানা দড়িতে পা লেগেছিল সূর্যের। ফলে এটি আউট দেওয়া ইছুত হয়নি আম্পায়ারের। ছক্কা হলে ম্যাচটি হয়ত জিতেও যেতে পারত প্রোটিয়ারা।

শেষ পর্যন্ত যে ৭ হারে হারতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। ওই বলটি ক্যাচ না হয়ে ছক্কা হলে ম্যাচটা প্রোটিয়ারা না জিতলেও অন্তত টাই হতে পারত, সুপার ওভারে যেতে পারত। এসব নিয়ে যখন চলছে পক্ষে বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক; তখন আলোচিত সেই ক্যাচ নিয়ে মুখ খুলেছেন সূর্য নিজেই।

ক্যাচ নিয়ে সূর্য বলেন, ‘রোহিত ভাই সাধারণত কখনও লং-অনে দাঁড়ান না কিন্তু সেই মুহূর্তে তিনি সেখানে ছিলেন। তাই যখন বল উপরে ছিল, এক সেকেন্ডের জন্য আমি তার দিকে তাকালাম এবং সে আমার দিকে তাকাল। আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম এবং আমার লক্ষ্য ছিল বলটি ধরা। এবং রোহিত ভাই কাছে থাকলে আমি তার দিকে বল ছুঁড়ে দিতাম। কিন্তু এই চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে সে কোথাও ছিল না, আমি আসলে ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারব না।’

সূর্য আরও বলেন, ‘যখন আমি বলটি উপরে ঠেলে দিয়েছিলাম এবং ক্যাচটি নিয়েছিলাম, আমি জানতাম যে আমি দড়ি স্পর্শ করিনি। এ বিষয়ে আমি সতর্ক ছিলাম। আমি জানতাম আমি যখন বলটিকে ভিতরে ঠেলে দিয়েছে, তখন আমার পা দড়িতে স্পর্শ করেনি। আমি জানতাম এটি একটি সঠিক ক্যাচ ছিল। আর যদি বলটি ছক্কায় হতো তাহলে, সমীকরণ হতো পাঁচ বলে দশ রান। আমরা হয়তো তখনও জিততে পারতাম, কিন্তু ব্যবধান আরও কাছাকাছি হতো।’

রোনালদো নাকি এমবাপে? জয়ের হাসি হাসবেন কে?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পর্তুগাল। এই ম্যাচের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদের দুই সাবেক ও বর্তমান নিজেদের সক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। অন্যভাবেও বলা যায়; রোনালদোকে আদর্শ মেনে বড় হওয়া এমবাপের এখন প্রধান লক্ষ্য নিজের আইডলকে কাঁদিয়ে নিজের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা। শুক্রবার রাতে দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অবশ্য দুই দলের দুই সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপে ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উপরই নজর থাকবে সবার।

হামবুর্গে শেষ আটের এই লড়াইয়ে ইউরোপের দুই ফুটবল জায়ান্টের মুখোমুখি হওয়ার ম্যাচে কেউই স্বস্তিতে নেই। দুই দলের কেউই এখন পর্যন্ত জার্মানিতে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের কোন খেলোয়াড়ই ওপেন প্লেতে কোন গোল করতে পারেনি। এ নিয়ে চার ম্যাচে তারা মাত্র তিনটি গোল করেছে। এর মধ্যে এমবাপে একটি করেছেন পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি হয়েছে আত্মঘাতী গোল।

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নাক ভেঙ্গে যায় ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপের। এরপর থেকে তিনি খুব একটা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছেন না। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্স গোলশূন্য ড্র করেছিল। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচটি খেলতে পারেননি এমবাপে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে ফিরে পেনাল্টি থেকে এক গোল করেন। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই এমবাপের প্রথম গোল।

অন্যদিকে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলতে ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর শ্যুট আউটে জয়ী হয়ে পর্তুগাল। গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে শেষ আট নিশ্চিত করে পর্তুগাল। অতিরিক্ত সময়ে রোনালদো পেনাল্টি মিস করায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে পেনাল্টি শ্যুট আউটের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পেনাল্টি মিস করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোনালদো।

তিন বছর আগে ইউরোর গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং পর্তুগাল। রোনালদো জোড়া গোল করলেও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল। নক আউট পর্বে যখনই এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে তখনই বিজয়ী দল শিরোপা জিতেছে। ২০১৬ ইউরো ফাইনালে পর্তুগাল জয়ী হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে মিশেল প্লাতিনির গোলে সেমিফাইনালে জিতেছিল ফ্রান্স। এবং ২০০০ সালের সেমিফাইনালে জিনেদিন জিদানের গোলে বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

যেমন হতে পারে আর্জেন্টিনার একাদশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শুরু আগামীকাল (শুক্রবার) সকালে। নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তাদের সামনে প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। 

কাকতালীয়ভাবে ২০২১ সালের আসরেও একই দৃশ্যের দেখা মিলেছিল। সেবারও কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল ইকুয়েডর। 

এবারের ম্যাচের আগে বড় প্রশ্ন ছিল আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসিকে পাবে কি না। সে প্রশ্নের জবাব মিলে গেছে। মেসিকে নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা, জানিয়েছেন গাস্তন এদুল। তার সঙ্গে আক্রমণভাগে থাকবেন লাওতারো মার্তিনেজ। 

অনুশীলনে আজ স্কালোনি তার সব খেলোয়াড়কেই পেয়েছেন, সেখানে ছিলেন মেসিও। পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে ছিলেন না তিনি। 

আর্জেন্টিনা আগের ম্যাচে অনেকটা খর্বশক্তির দল নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তবে আগামীকাল কোয়ার্টার ফাইনালে আবারও পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

আর্জেন্টিনা একাদশঃ

এমি মার্তিনেজ, মলিনা, রোমেরো, লিসান্দ্রো, তালিয়াফিকো, ডি পল, অ্যালেক্সিস, এনজো, নিকো গঞ্জালেস, মেসি, লাওতারো।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাড়ালেন টেন হাগ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গেল মৌসুমটা একদমই যাচ্ছেতাই কেটেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তারা ৮ নম্বর অবস্থানে থেকে শেষ করেছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, বেশিরভাগ সমর্থক এবং দর্শকরা ধরেই নিয়েছিলেন যে চাকরি হারাতে চলেছেন দলটির কোচ এরিক টেন হাগ। তবে সেটি তো হয়নি বরং সবাইকে অবাক করে দিয়ে কোচের মেয়াদ বাড়িয়েছে রেড ডেভিলরা। অন্তত ২০২৬ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব টেন হাগের হাতে তুলে দিয়েছে ক্লাবটি।

২০২২ সালে তিন বছরের চুক্তিতে ইউনাইটেডে যোগ দেন টেন হাগ। এসেই প্রথমে দল থেকে বাদ দেন দলের তারকা এবং সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। যা নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। তবে এরপরও নিজের সিদ্ধান্তে স্থির থেকে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন টেন হাগ। তার কারণে সে সময় ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল রোনালদো।

তার অধীনে সবশেষ মৌসুমে ভরাডুবি দেখতে হলেও নিজের মেয়াদকালে ইউনাইটেডকে দুটি শিরোপা জিতিয়েছেন টেন হাগ। তার অধীনে লিগ কাপ ও এফএ কাপ জিতেছে ইউনাইটেড। যেই সাফল্যকেই নিজেদের উন্নতির মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে ক্লাব কর্তারা। ফের তার হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে রেড ডেভিলদের ভাগ্য।

টেন হাগের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ড্যান অ্যাশওর্থে বলেন, ‘দুই মৌসুমে দুটি ট্রফি জেতার মাধ্যমে এরিক নিজেকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম ধারাবাহিক সফল কোচ হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছেন। ক্লাবের পর্যালোচনায় সর্বশেষ মৌসুমে উন্নতির জায়গা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে কারণে ক্লাব এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে এগিয়ে যেতে এবং ভালো ফল পেতে এরিকই আমাদের জন্য সেরা কোচ। এখন আমাদের আরও ধারাবাহিক হওয়া দরকার।’

বাদ পড়ার বদলে উল্টো মেয়াদ বাড়ায় বেশ খুশি টেন হাগ। বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রত্যাশার মানে পৌঁছাতে এখনো অনেক কঠোর পরিশ্রম করা বাকি, যার অর্থ, ইংলিশ ও ইউরোপিয়ান ট্রফির জন্য লড়াই করা।’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

মেসিকে খেলানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন স্কালোনি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার সকাল ৭টায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে মেসি খেলবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কেননা, গ্রুপপর্বে সবশেষ ম্যাচে চোটের কারণে মাঠে নামেননি মেসি। তাই শঙ্কা থাকছে এ ম্যাচেও। তবে আশার কথা, দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন মেসি। তবে অনুশীলন করলেও মেসির জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান প্রধান কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসিকে নিয়ে সতর্ক হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে শুরুর একাদশে মেসি খেলছেন কিনা এ নিয়ে স্কালোনি বলেন, ‘আমি এখনো তার অবস্থা নিয়ে কথা বলিনি। আমার মনে হয় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো। অবশ্যই কথা বলব; কারণ, ম্যাচের এক দিন আগে এবং (সুস্থ হয়ে উঠতে) তার পুরো সময়টাই পাওয়া উচিত। যতটা সম্ভব অনুশীলনও করে নিতে পারছে। অনুশীলনের আগে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

জুলিয়ান আলভারেজ এবং দারুণ ছন্দে থাকা লাওতারো মার্তিনেজকে একসঙ্গে দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে স্কালোনি বলেন, ‘দুজনকে খেলানো হতেই পারে। আজ ট্রেনিং সেশনে আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। ট্রেনিং সেশন শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। একসঙ্গে খেলানোর সম্ভাবনা আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না।’

এবারের কোপা আমেরিকায় বলতে গেলে আর্জেন্টিনাকে একাই টানছেন লাওতারো মার্তিনেজ। সবশেষ ম্যাচেও করেছেন জোড়া গোল। সব মিলিয়ে আসরে তার গোল সংখ্যা ৪টি। আলাদাভাবে তাই মার্তিনেজের প্রশংসা করতে ভুলেননি স্কালোনি, ‘সে এবারের কোপায় দারুণ করছে। শুধু ভালো নয়, সে সুযোগের অপেক্ষা করেছে এবং সুযোগ কাজে লাগিয়ে। এটাই আমাকে সবচেয়ে খুশি করছে।’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;