বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য পশ্চিমারা দায়ী: রাশিয়া

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ক্ষুধার জন্য পশ্চিমকে দায়ী করেছে রাশিয়া। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে রুশ ডেপুটি ইউএন অ্যাম্বাসেডর দিমিত্রি চুমাকভ বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য যুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারি ও পশ্চিমা অর্থনৈতিক নীতিগুলি বিশ্বব্যাপী খাদ্য, শক্তি এবং আর্থিক বাজারকে নাড়া দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি একথা বলেন। বিশ্বজুড়ে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধ দায়ী কিনা তা নিয়ে এসময় রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বে প্রায় এক তৃতীয়াংশ গম ও বার্লি রফতানি করে থাকে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু অংশের লাখ লাখ মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যের রুটি এবং নুডলসের জন্য এই দুটি দেশের ওপর নির্ভরশীল।

ইউক্রেন বিশ্বে প্রধান ভুট্টা সরবরাহকারী এবং সূর্যমুখী তেলের বৃহত্তম রফতানিকারক। যুদ্ধের কারণে যার প্রভাব ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী পড়তে শুরু করেছে।

ইউক্রেন বলছে, যতদিন রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন অব্যাহত রাখবে, ততদিন বিশ্বের অনেক দেশে ক্ষুধার হুমকি দেখা দেবে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে, গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী গম ও ভুট্টা রফতানির প্রায় ৩০ শতাংশ রাশিয়া এবং ২০ শতাংশ ইউক্রেন থেকে হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা অনুমান করছে, পশ্চিম আফ্রিকা এবং সাহেল অঞ্চলে (উভয়ই রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় শস্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল) যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে জুনের মধ্যে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি লোককে আরও দুরবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।

   

‘নিজেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে ইসরায়েল’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার (১৭ এপ্রিল) বলেছেন, ‘কীভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে ইসরায়েল তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’

রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো ইরানের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।

নেতানিয়াহু বুধবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে কথা বলার পর বলেন, ‘আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, আমরা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেব এবং রাষ্ট্র নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে ইসরায়েল।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে বিকল্পগুলো নিতে পারে তার বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করার কথা রয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার।

ইসরায়েলের একটি সরকারী সূত্র সিনহুয়া নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, বেশিরভাগ মন্ত্রীরা পাল্টা আক্রমণকে সমর্থন করেন তবে আক্রমণের মাত্রা কতোটা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তারা।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে গাজা সংঘাতের ছয় মাসেরও বেশি সময় পরে তা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ এড়াতে ও বিধ্বস্ত গাজায় আরও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উপায় খুঁজছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রুপ জি-৭ সবাই ইরানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের অনুরোধে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য একটি বিরতি নিয়ে আলোচনা করবে তবে হামাস নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

অন্যদিকে হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি দেবে না।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার ভূমিকা পুনঃমূল্যায়ন করছে কাতার।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী এ সময় গাজায় সংঘাত থামানোর দায়িত্ব নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান এবং রাজনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার হিসেবে মানবিক সহায়তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গত বুধবার ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘গাজাজুড়ে একটি মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ তার গ্রাসকে শক্ত করছে। উত্তরে শিশুরা অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় মারা যেতে শুরু করেছে আর সীমান্তের ওপারে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অপেক্ষা করছে।’

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

বিজেপি এবং সহযোগী দলের প্রার্থীদের মোদির চিঠি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সকল প্রার্থীকে চিঠি লিখে বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নিজেদের কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে তার ওই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যও বিজেপি এবং সহযোগী দলগুলোর প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, হিন্দি এবং ইংরেজি, দুটি ভাষাতেই দল এবং জোটের প্রার্থীদের চিঠি লিখেছেন মোদি। তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি তথা কোয়ম্বত্তূরের দলীয় প্রার্থী কে আন্নামালাই কিংবা নীলগিরি লোকসভায় পদ্ম প্রতীকে লড়তে নামা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগান পেয়েছেন ইংরেজিতে লেখা চিঠি।

আবার উত্তরাখণ্ডের গঢ়ওয়াল লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র অনিল বালুনি কিংবা রাজস্থানের অলওয়ারের প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব পেয়েছেন হিন্দিতে লেখা চিঠি।

অষ্টাদশ লোকসভার ৭ দফা ভোটপর্বের প্রথম দফায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেশের ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে নির্বাচন হবে ১০২টি আসনে।

এই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের ওই তিন কেন্দ্রসহ এর মধ্যে মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবকয়টিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়।

শুক্রবার প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তিসগড়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পুদুচেরিতে।

উল্লেখ্য, মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩টিতে ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায়।

এর পাশাপাশি, বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট এবং রাজস্থানের ১২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে শুক্রবার। তবে এই দফায় সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির উদগীরণ, বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের মাউন্ট রুয়াং আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদগিরণ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) শুরু হওয়া এ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আশেপাশের অঞ্চলে লাভাস্রোত ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দারা ঘর-বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন।

এদিক আগ্নেয়গিরির ধোয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার কারণে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মানাডো শহরের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির বিমান কর্তৃপক্ষ। বিমান কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করার পর বাজেট এয়ারলাইন এয়ার এশিয়া পূর্ব মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের ৯টি বিমানবন্দরের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করেছে।

এছাড়া ওই অঞ্চলে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম এবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেছেন, ৭২৫ মিটারের ওই পাহাড় থেকে স্থানীয়দের ৬ কিলোমিটার দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় ১১ হাজার মানুষের বসবাস। এমন ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ৮০০ জন তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়েছে বলেও জানানো হয়।

 

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

‘গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকসই ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া।

তিনি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওই মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার সতর্ক করেছি। কিন্তু, একটি স্থায়ী ও টেকসই যুদ্ধবিরতি ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে মানবিক প্রচেষ্টা ধ্বংস হয়ে গেছে। অবশ্যই এই যুদ্ধবিরতি সামরিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী এবং মানবিক কর্মীরা সেনাবাহিনীর হামলার মুখে সম্পূর্ণ অরক্ষিত। যদি এক পক্ষ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় এবং বিশেষ করে যখন নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সদস্যের কাছ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, কাউন্সিলের প্রস্তাবগুলো বাধ্যতামূলক নয়, তাহলে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন-২৭২৮-এর দাবি এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন তীব্র রুপ ধারণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে গাজার জনসংখ্যার জন্য মানবিক সাহায্য বিতরণ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ সংস্থাগুলো একমত যে, ছিটমহলে মানবিক সরবরাহ কার্যত অস্তিত্বহীন।’

তিনি বলেন, ‘ওসিএইচএ-এর মতে, ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনী মানবিক সহায়তার অর্ধেক সরবরাহ যান অবরুদ্ধ করে রেখেছে। একই সময়ে মানবিক কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সীমান্তে মানবিক সরবরাহের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে এবং সরবরাহের ব্যবস্থা করার জন্য যথেষ্ট আর্থিক সংস্থান রয়েছে। শুধুমাত্র চেকপয়েন্টগুলো খুলে দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।’

নেবেনজিয়া নিশ্চিত যে, জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর কার্যক্রম এই পরিস্থিতিতে অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ‘আমরা এজেন্সির কর্মীদের বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানাই। যারা অমানবিক পরিস্থিতিতে তাদের জীবন দিয়ে মানবিক দায়িত্ব পালন করেন। আজ পর্যন্ত ১৭৮ জন কর্মী সদস্য তাদের জীবন হারিয়েছেন। একক মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু।’

রাশিয়ার এই কূটনীতিক বলেন, ‘সেই পটভূমিতে ইউএনআরডব্লিউএ-কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা এবং এজেন্সিটি ভেঙে দেওয়ার আহ্বান যা আমরা এই চেম্বারেও শুনেছি, যা স্পষ্টতই অগ্রহণযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নির্বিচার অভিযোগগুলো এই বৃহৎ এবং অত্যাবশ্যক জাতিসংঘের সত্ত্বাকে আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। গাজায় সংস্থাটির ১৩ হাজার কর্মীর কার্যক্রম স্থগিত করা হলে তা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য সম্মিলিত শাস্তির আরেকটি বেআইনি এবং অনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠবে।’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন ফিলিস্তিন ছিটমহলে নিহত মানবিক কর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করে।

জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত বছরের ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ২২৪ মানবিক কর্মী নিহত হয়েছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;