মুজিববর্ষ না মুজিবর্ষ, চলছে আলোচনা-সমালোচনা!

  বিজয়ের ৫০ বছর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মুজিববর্ষ না মুজিবর্ষ, চলছে আলোচনা-সমালোচনা!

মুজিববর্ষ না মুজিবর্ষ, চলছে আলোচনা-সমালোচনা!

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে দেশের মানুষকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ৮ বিভাগের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করবেন।

শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আরো কোটি মানুষের চোখ টিভি স্ক্রিন, ফেসবুক লাইভে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বানানো শপথ মঞ্চে উঠলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গেলেন ডায়াসের সামনে! তার পাশে ছোটবোন শেখ রেহানা। এরপরেই সবার চোখ কপালে উঠলো যে দিবসকে ঘিরে এত আয়োজন সেই মুজিববর্ষের বানানটাই ভুল করেছে আয়োজক কমিটি। এত বড় অনুষ্ঠান দেশসহ সারা বিশ্বের যেখানে চোখ থাকবে – সেই অনুষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লোগোটার বানানেই ভুল।

১৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার বিজয়ের ৫০ বছর ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানের শপথ বাক্য পাঠ অংশে এই বানান ভুল করেছে আয়োজক কমিটি। দেখা যায়- প্রধানমন্ত্রী যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সেখানে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ লেখার বদলে একটি 'ব' বাদ দিয়ে লেখা হয়েছে 'সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষের শপথ’।

এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে বানান ভুল করা সহজেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ-ই। তাদের দাবি, আয়োজক কমিটির উদাসীনতায় বানান ভুলের ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু, অনেকে এই বানানকে শুদ্ধ হিসেবে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ বলছে, মুজিববর্ষকে সংক্ষেপে মুজিবর্ষ লিখেছে এতে কোন ভুল নেই। তবে সমালোচনার পাল্লাই ভারী দেখা গেছে।

মাহবুব আল রশিদ খান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এতো বড় ভুল মেনে নিতে পারছি না, কাদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয় মুজিববর্ষ লিখতে বানান কিভাবে ভুল করে??

আরেকজন লিখেছেন, মুজিব বর্ষের শপথ পাঠ করা হচ্ছে, কিন্তু মুজিববর্ষ বানান ভুল। এইরকম একটি জায়গায় ভুল মানা যায় কি? যারা আয়োজক কমিটি তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, এত বড় আয়োজনে ছোট্ট ত্রুটি নিয়ে মাতামাতির কী আছে? কী বলেন?  একটা 'ব' বাদ পড়েছে মাত্র!

এমন সমালোচনা আলোচনার মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে জানিয়েছেন ‘মুজিবর্ষ শুদ্ধ’ বানান না এটি ব্যাকরণগত ভুল।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মুজিবর্ষ’ বলতে কোন শব্দ নেই, এটা ভুল হয়েছে। আয়োজক কমিটি এটি ভুল করেছেন। মুজিববর্ষ হবে মুজিবর্ষ কোন শব্দ হতে পারে না।’

কবি, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক সোহেল হাসান গালিব বার্তা২৪.কম’কে বলেন, মুজিবর্ষ ভুল বানান, এটা কোনভাবেই শুদ্ধ হতে পারে না। আয়োজক কমিটির ভুলে ‘ব’ বাদ পড়ে গেছে।   

এ বিষয়ে জানতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

  বিজয়ের ৫০ বছর

বাস-অটোভ্যানের সংঘর্ষ, স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ নিহত ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাস-অটোভ্যানের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপু্র আড়াইটার দিকে মধুপুর-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলার পাইকা গ্রামের মাইনুউদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী ছাহেরা বেগম (৩০), ছেলে সিয়াম (৩ বছর)। এছাড়া অপরজনের নাম ফরহাদ (৩০)। তিনি দরদ আলীর ছেলে। সে অটোভ্যান চালক। তার গ্রামের বাড়ি তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ব্যাটারিচালিত একটি অটোভ্যান তিনজন যাত্রী নিয়ে মধুপরের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় বেপরোয়া গতির বিনিময় পরিবহন নামের একটি বাস টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে বাসটি গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে অটোভ্যানের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যায়। আহত হয় একজন। পরে তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় মধুপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি জানান, গাংগাইর এলাকায় বাসের ধাক্কায় অটোভ্যানের তিনজন যাত্রীসহ ভ্যান চালক সড়কে ছিটকে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়। আহত হয় আরও একজন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজন ও হাসপাতাল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নিহত চারজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। এ ঘটনায় ঘাতক বিনিময় পরিবহন নামে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডলার সংকট ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানান কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশে। এটিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

এবারের বাজেটে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সে হিসেবে বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সংশোধিত জিডিপির চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ৪৪ লাখ ৩৯ কোটি ২৭৩ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ রাখার পাশাপাশি ভোক্তা মূল্যসূচক বা মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জিডিপি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে আগামী ২৬ জুন। এর আগে ২৫ জুন ২৩-২৪ অর্থবছরের অর্থবিল পাস করা হবে। বাজেট কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

দাম কমবে যেসব পণ্যের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস, কৃষিপণ্যসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মাংসের দাম কমতে পারে।

উৎপাদনে উৎসাহিত করতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস সকেট আমদানি করতে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ রয়েছে।

প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক হার ১০-১৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এলইডি বাল্ব ও সুইস এবং সকেটের দাম কমতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের ডেলিভারি চার্জ কমবে।

প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে মিষ্টির দাম কমতে পারে। মিষ্টির ওপর ভ্যাট অর্ধেক করার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বর্তমানে চালুকৃত ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্কছাড়ের কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দামও কমতে পারে। এছাড়া সফটওয়্যার, ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, বাইসাইকেল, অভিজাত বিদেশি পোশাকের দামও কমতে পারে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ চলতি বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।

দেশের ইতিহাসে বিশাল এ প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

ডেইরি আইকন পুরস্কার পেলেন ৪১ জন সফল উদ্যোক্তা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে খামারি ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে দুগ্ধ খাতে সফল দেশের ৪১ জন খামারি ও উদ্যোক্তাকে ডেইরি আইকন পুরস্কার ২০২২ দেয়া হয়েছে। বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২য় বারের মতো ৪টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ডেইরি ক্যাটাগরিতে ২০ জন, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯ জন, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৮ জন এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে ৪ জনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লক্ষ টাকা। সেই সাথে প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদ।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৩ উদযাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, স্থায়ী কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য ছোট মনির এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল এবং সহকারী এফএও প্রতিনিধি নূর আহমেদ খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে 'স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের উপকারিতা' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রেয়াজুল হক। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ এবং ডেইরি খাতের উদ্যোক্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে দুধের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। দুধের ঘাটতি পূরণ করে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে দুগ্ধ উৎপাদনে যে ঘাটতি আছে, সে ঘাটতি পূরণে অনেক বেশি যত্নবান ও তৎপর হতে হবে। এটাই হোক বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে সবার প্রত্যয়।

তিনি আরও বলেন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত এক সময় অবহেলিত ছিল। বঙ্গবন্ধুই প্রথম এ খাত সংশ্লিষ্টদের সম্মানিত করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এ খাত সংশ্লিষ্টদের সম্মানিত না করলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে না।

দুধ একটি আদর্শ খাদ্য উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এ সময় আরও যোগ করেন, দুধ পান না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শারীরিক ও মেধার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মানুষের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনসহ অন্যান্য উপাদান সবচেয়ে বেশি দুধের মধ্যেই রয়েছে।

উল্লেখ্য, 'টেকসই দুগ্ধ শিল্প: সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী' এ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকালে রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ঢাকার ১১টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানো হয়। ঢাকার বাইরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এতিমখানায় শিশুদের দুধ খাওয়ানো, কুইজ প্রতিযোগিতা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, র‌্যালি, সভা, পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;