খুলনা বিজয় দিবস ১৭ ডিসেম্বর

  বিজয়ের ৫০ বছর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও খুলনা শত্রুমুক্ত হয়েছিল এর একদিন পর ১৭ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে লড়াই করে খুলনা শহর দখলমুক্ত করেন এদিনে। এরপর খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে শত্রুপক্ষ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ওই দিনই বিজয়ের পতাকা ওড়ে খুলনায়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের শেষ দিকে চূড়ান্ত বিজয়ের আগে দক্ষিণাঞ্চলের শ্যামনগর, দেবহাটা, সাতক্ষীরা হানাদারমুক্ত হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যায়। তখন তাদের একটাই লক্ষ্য খুলনাকে মুক্ত করা। কপিলমুনির ভয়াবহ যুদ্ধের পর দক্ষিণাঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর সামনে আর কোনও বাধা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা একটি লঞ্চে রওনা দিয়ে বারআড়িয়া-মাইলমারা হয়ে বটিয়াঘাটায় আসেন এবং জলমা-চক্রাখালি হাইস্কুল ভবনকে ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে।

১০ ডিসেম্বর সকালে লঞ্চে বসে মেজর জয়নুল আবেদীন খান, গাজী রহমত উল্লাহ দাদু, শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মীর্জা খয়বার হোসেন, লে. আরেফিন, শেখ ইউনুস আলী ইনু, স ম বাবর আলী, সাহিদুর রহমান কুটু, শেখ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ খুলনা শহর শত্রুমুক্ত করার মূল পরিকল্পনা করেন।

সে সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গল্লামারী রেডিও স্টেশন, খুলনা লায়ন্স স্কুল, পিএমজি কলোনী, শিপইয়ার্ড, ৭নং ঘাটের জেটী, টুটপাড়া, বয়রা ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন, ওয়াপদা ভবন, খালিশপুরের গোয়ালপাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গোয়ালখালী ও দৌলতপুরের কয়েকটি স্থানে অবস্থান করছিল। তখন সিদ্ধান্ত হয় যে, মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে খুলনা শহরে প্রবেশ করবে এবং কোনও বাধা এলে তা সশস্ত্রভাবে প্রতিহত করবে।

ফাহিম উদ্দিন ও লে. নোমান উল্লাহর নেতৃত্বে তার বাহিনী সেনের বাজার, রাজাপুর ও রূপসা ঘাটের দিক থেকে, বোরহান উদ্দিন ও তার বাহিনী ক্রিসেন্ট জুটমিল ও এর পাশে নৌঘাঁটিতে, মুজাহিদ ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার ও তার বাহিনী কুলুটিয়া নামক স্থানে অবস্থান নিয়ে খুলনা রেডিও স্টেশনে, আফজাল ও কুতুব উদ্দিন তাদের বাহিনী নিয়ে ঝড়ডাঙ্গা ও সাচিবুনিয়ার দিক থেকে পাক সেনাদের লায়ন্স স্কুলের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে খুলনা শহরের দিকে প্রবেশ করে।


এরপর মুক্তিযোদ্ধারা বেতারে শুনতে পান, মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মানেক শথ র আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি সেনারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ করছে, কিন্তু খুলনায় তারা আত্মসমর্পণে রাজি হচ্ছে না।

এই সংবাদ পাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা শহরের দিকে এগিয়ে যান। ১৬ ডিসেম্বর যে দিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে সেদিন খুলনা শহর ও এর আশপাশে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ চলছিল। সড়ক পথে যশোর রোড ধরে খুলনায় আসার পথে শিরোমনিতে মিত্র বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের ব্যাপক সংখ্যক হতাহত হয়।

১৭ ডিসেম্বর ভোরে শিপইয়ার্ডের কাছে রূপসা নদীতে বটিয়াঘাটা ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি লঞ্চ এসে পৌঁছে। কিন্তু শিপইয়ার্ডের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা পাক সৈন্যরা লঞ্চটির ওপর আক্রমণ চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। মুক্তিবাহিনীও লঞ্চ থেকে নেমে শিপইয়ার্ডের ওপারের ধান ক্ষেতে অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়।

অবশেষে সকল বাধা অতিক্রম করে ১৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। খুলনা সার্কিট হাউস দখল করার পর মেজর জয়নুল আবেদীন ও রহমত উল্লাহ দাদু যৌথভাবে সার্কিট হাউসে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।

এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, আবুল কালাম আজাদ, রেজাউল করিম, গাজী রফিকুল ইসলাম শহীদ হাদিস পার্কে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। মিত্র বাহিনী খুলনা শহরে প্রবেশ করার ৮ ঘণ্টা আগেই হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এরপর খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের দপ্তর থেকে ব্রিগেডিয়ার হায়াত খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানের দিকে রওনা হন।

পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজিত বিধ্বস্ত সৈন্যরাও সার্কিট হাউস ময়দানের দিকে রওনা হয়। রাস্তায় তখন হাজারো মানুষের ঢল নামে। সবার মুখে তখন ‘জয় বাংলা ধ্বনি। সবাই ছুটেন খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানের দিকে। ১৭ ডিসেম্বর সার্কিট হাউস ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পর সেখানে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ প্রাণভরে গ্রহণ করেন স্বাধীন বাংলার মুক্ত বাতাস।

 

 

 

  বিজয়ের ৫০ বছর

নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ছিদ্দিক উল্যাহ (৬৮) উপজেলার মধ্য নাজিরপুর গ্রামের মৃত ছাইদুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি চৌমুহনী পৌরসভার চৌরাস্তা মোড় এলাকার রাস্তা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে ওই সময় ট্রাকচালক ও তার সহকারী কৌশলে পালিয়ে যায়।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ট্রাক বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

কোরবানির হাট মাতাবে ‘রাজ বাহাদুর’!



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)  
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ষাঁড় গরু প্রস্তুত করেছেন কৃষক মতি মিয়া। বীরনোয়াকান্দি এলাকায় বিশাল গরুটি দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। রাজ বাহদুরকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছেন।

শাহিয়াল জাতের বিশাল আকৃতির এ গরুর উচ্চতা ১৮০ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২৮০ সেন্টিমিটার, আর ওজন প্রায় ২০ মণ হতে পারে বলছেন গরুর মালিক। ষাঁড়টির গায়ের রং লাল এবং সাদা। প্রথম বার এটিকে বাড়ির বাহিরে আনা হয়েছে। এখনো হাটে তোলা হয়নি।

গরুর মালিক মতি মিয়া বলেন, ১০ লাখ টাকা চাই। শাহিয়াল জাতের এ ষাঁড়টি এক বছর আট মাস ধরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করে আসছি। প্রতিদিন তার খাবারের তালিকায় থাকে ছোলা, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খোল, চিড়া,নরম ভাত এবং সবুজ কাঁচা ঘাস এ গরুকে প্রতিদিন দু’বার করে গোসল করাতে হয়। রোজ ৫-৬ শ’ টাকা খরচ হয়। এবার ঈদে যদি বাইরে থেকে গরু না আসে, তাহলে হয়তো আমরা আমাদের প্রকৃত মূল্য পাব।

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল মিয়া বলেন, এটি আমার দেখা সবচেয়ে বড় গরু এলাকার মধ্যে। উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু হবে বলেই মনে করছি। অনেক যত্ন করে এটি লালন পালন করছেন। সৌখিন কোন মানুষ এটিকে কোরবানির জন্য নিতে পারে। আকর্ষণীয় হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

 

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

কোডার্সট্রাস্ট ও ইউনিভার্সিটি ফর পিস'র চুক্তি স্বাক্ষর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযুক্তি শিক্ষায় বৈশ্বিক কোম্পানি কোডার্সট্রাস্ট ও জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষক ইউনিভার্সিটি ফর পিস বৈশ্বিক উন্নয়ন ও শান্তির জন্য দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

কোস্টারিকার স্যান জোসেতে ইউনিভার্সিটি ফর পিস- ইউপিসের প্রধান ক্যাম্পাসে গত শনিবার (৩ জুন) এই অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারচুয়াল প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি। অংশীদারিত্ব স্মারকে স্বাক্ষর করেন ইউপিসের রেক্টর অধ্যাপক ফ্র্যান্সিককো রোজাস অ্যারাভেনা ও কোডার্সট্রাস্টের চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ। এই অংশীদারিত্বের আওতায় ইউনিভার্সিটি ফর পিস- ইউপিসের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল যুগে প্রয়োজনীয় অগ্রসরভিত্তিক প্রযুক্তি দক্ষতার (নেক্সট জেনারেশন স্কিলস) প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাাস্ট। এছাড়াও থাকবে একাডেমিক সহযোগিতার সম্পর্ক ও শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি।

ইউনিভার্সিটি ফর পিসের ভাইস রেক্টর ড. হুয়ান কার্লোস সেইনজ বোরগো, ইউপিসের বিশেষ উপদেষ্টা মেলিসা মেনিস ও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কোডার্সট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এসময় কোডার্সট্রাস্ট ও ইউপিস-কে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি বলেন, এই অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের মিশন ও ভিশনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। বাংলাদেশের তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারী ও যুবশ্রেণিকে দক্ষতাভিত্তিক কর্মশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে অব্যহত অবদান রাখার জন্য কোডার্সট্রাস্টের প্রশংসা করেন শিক্ষামন্ত্রী। চার দশক আগে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে যখন ইউনিভার্সিটি ফর পিস গঠিত হয় তখন তাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনও ছিলো স্বাক্ষরকারী দেশ, বক্তব্যে স্মরণ করেন দীপু মনি।

ইউপিসের রেক্টর অধ্যাপক ফ্রান্সিসকো রোজাস আরাভেনা বলেন, যে কোনো উদ্ভাবনই হতে হবে শান্তির জন্য। নেক্সট জেনারেশন স্কিলস কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদ্ভাবনগুলো যাতে মানবতার শান্তি ও সম্মৃদ্ধিতে ব্যবহার করা সম্ভব হয় তার ওপর জোর দেন তিনি। প্রযুক্তি দক্ষতার প্রশিক্ষণে সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত ও কর্মহীন নারী ও যুব শ্রেণির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় কোডার্সট্রাস্টের প্রশংসা করেন অধ্যাপক আরাভেনা।

একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করার কথা উল্লেখ করে ইউপিসের রেক্টর বলেন, "বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি স্থায়ী।"

কোডার্সট্রাস্টের চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ বলেন, বৈশ্বিক শান্তি, শিক্ষা, কর্মসুযোগ ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এ ধরণের পারস্পরিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে প্রযুক্তির অগ্রসরতা প্রতিনিয়তই বাড়ছে এ অবস্থায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ডিজিটাল দক্ষতা জরুরি। চলতি দশকে ১ বিলিয়ন যুব শ্রেণি কর্মজগতে ঢুকবে যারা কর্মহীনতা কিংবা যোগ্যতার চেয়ে কমমূল্যের কাজের ঝুঁকিতে থাকবে এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বের ৪৫ শতাংশ কর্মশক্তিরই টিকে থাকার জন্য প্রতি ৩ থেকে ৪ বছরে নতুন দক্ষতা নিতে হবে।

যুব শ্রেণির জন্য অগ্রসর প্রযুক্তি দক্ষতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে আজিজ আহমদ বলেন, এর মধ্য দিয়েই বিশ্ব শান্তিতে অবদান রাখা সম্ভব। দারিদ্র, অসমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো যে বিষয়গুলো মানব নিরাপত্তা ও সুন্দর জীবন যাপনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে সেগুলোকেও দূর করতে পারে প্রযুক্তি দক্ষতা, যোগ করেন তিনি।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরপরই একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি ফর পিস। মানবাধিকার ও ডিজিটাল যুগে শান্তি বিনির্মাণ শির্ষক ওই আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন আজিজ আহমদ। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে আরো ছিলেন ইউপিসের ভাইস রেক্টর ড. হুয়ান কার্লোস সেইনস-বোরগো, ইউপিসের স্পেশাল অ্যাডভাইজর মেলিসা ম্যানিস, ডক্টোরাল কো-অর্ডিনেটর ড. মারিয়াতেরেসা গারিডো, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার অব ড্যাটা জার্নালিজমের পরিচালক জিয়ানিনা সেগনিনি, এআই ফর পিস এর ফাউন্ডিং ডিরেক্টর ব্র্যাঙ্কা প্যানিক, অ্যাবোগাডো অ্যাগুইলার ক্যাস্টিলো লাভ এর ফ্যাবিন সোলিস, ব্রাজিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের ড্যাটা প্রাইভেসি প্রকল্পের প্রধান ম্যারিনা মিরা, ইউনাইটেড নেশনস রিলেশন্স এর গ্লোবাল ডিরেক্টর ও ভিপি মারসেলা চ্যাকন, রোকো প্ল্যান্টসের সিইও ড্যান ও'ব্রায়েন, কোস্টারিকার ফরেন ট্রেড মন্ত্রণালয়ের পরিচালক নাতালিয়া পোরাস প্রমুখ।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

বৃক্ষরোপণে আবারও প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেল রাসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১’ এ ১ম স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। এছাড়াও সবুজায়ন, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ উন্নয়নে দেশ-বিদেশে সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছে রাজশাহী মহানগরী।

গত সোমবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব মশিউর রহমান প্রমুখ।

রাসিকের তথ্যমতে, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়াদকালে নগর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর, দৃষ্টিনন্দন, সবুজ, উন্নত ও বাসযোগ্য পরিবেশবান্ধব শহর পেয়েছে নগরবাসী। এছাড়াও পরিবেশ উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই স্বীকৃতি হিসেবে রাসিক পেয়েছে বিভিন্ন পদক।

জানা যায়, স্বাস্থ্যকর, সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে ইতোমধ্যে রাজশাহী নগরী দেশের অন্যান্য শহরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। নগরীর প্রধান সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাতে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্য্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সবুজ হয়েছে প্রায় ৩৫ কি.মি. রাস্তার সড়ক বিভাজন ও চত্বর। নগরীর বারো রাস্তা মোড়, মোল্লাপাড়া গোল চত্বর, রাজিব চত্বর, ভদ্রা মোড়, তালাইমারি মোড় ও রানীবাজার ঢোপকল চত্বরসহ বিভিন্ন মোড় ও চত্বর পরিকল্পিতভাবে ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে। বাহারি ফুলের আকর্ষণীয় রঙে পথচারিদের দৃষ্টি কাড়ছে। নগরীর সবুজ রূপ ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাসিকের পরিবেশ কর্মীরা।

রাসিকের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ-মাহমুদ উল ইসলাম বলেন, রাজশাহী একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন, ফুলের শহর হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত লাভ করেছে। এই শহরের রূপকার সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর নেতৃত্বে ও নির্দেশনার রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক বিভাজক, ফুটপাত, সড়কদ্বীপ ও চত্বরসমূহে ২ লক্ষাধিক নানা প্রজাতির স্থায়ী বৃক্ষ এবং ১০ লক্ষাধিক সৌন্দর্যবর্ধক হেজ জাতীয় বৃক্ষরোপণ করা হয়।


এছাড়াও শীত ও বসন্তকালে নগরীর সড়ক বিভাজকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণের মাধ্যমে সড়কগুলো ফুলে-ফুলে সুশোভিত করা হয়। শুধুমাত্র ২০২২-২০২৩ সালের শীত মৌসুমে ২ লাখ ৫৩ হাজার নানা প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। স্বীকৃতি হিসেবে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০০৯, ২০১২ ও ২০২১ অর্জন, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২১ ও ২০২২ এবং এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্যা ইয়ার ২০১৬, বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমানোয় WHO(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) কর্তৃক বিশ্বের সেরা নগরী এবং এশিয়ার অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহরের স্বীকৃতি অর্জন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বৃক্ষরোপণ, সবুজায়ন ও পরিবেশ উন্নয়নে সারাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজশাহী নগরী। রাজশাহী পরিণত হয়েছে একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ, ফুলের নগরীতে। আমি আগামীতে আবারও সুযোগ পেলে আরও সুন্দর করে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আগামীতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ ও পদ্মাতীর ঘেঁষে সবুজ বেস্টনি স্থাপন, নদীর চর ও অন্যান্য খাসজমিতে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, উষ্ণায়ন ও চরম আবহাওয়ায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং নগরবাসীর জীবন যাত্রার অনুকূল পরিবেশ রক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞগণের সুপারিশক্রমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং মিনি সাফারি পার্ক ও এভিয়ারি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। আগামীতে রাজশাহীকে আরও উন্নত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতেও চান আসন্ন নিবার্চনের এই মেয়র প্রার্থী।

এর আগে ২০০৯ ও ২০১২ সালে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া ২০১২, ২০২১ ও ২০২২ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক অর্জন এবং ২০২০ সালে এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্যা ইয়ার, ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমানোয় WHO (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) কর্তৃক বিশ্বের সেরা নগরীর স্বীকৃতিও রয়েছে এই নগরীর।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;