খুলনা বিজয় দিবস ১৭ ডিসেম্বর

  বিজয়ের ৫০ বছর


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও খুলনা শত্রুমুক্ত হয়েছিল এর একদিন পর ১৭ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে লড়াই করে খুলনা শহর দখলমুক্ত করেন এদিনে। এরপর খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে শত্রুপক্ষ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ওই দিনই বিজয়ের পতাকা ওড়ে খুলনায়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের শেষ দিকে চূড়ান্ত বিজয়ের আগে দক্ষিণাঞ্চলের শ্যামনগর, দেবহাটা, সাতক্ষীরা হানাদারমুক্ত হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যায়। তখন তাদের একটাই লক্ষ্য খুলনাকে মুক্ত করা। কপিলমুনির ভয়াবহ যুদ্ধের পর দক্ষিণাঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর সামনে আর কোনও বাধা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা একটি লঞ্চে রওনা দিয়ে বারআড়িয়া-মাইলমারা হয়ে বটিয়াঘাটায় আসেন এবং জলমা-চক্রাখালি হাইস্কুল ভবনকে ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে।

১০ ডিসেম্বর সকালে লঞ্চে বসে মেজর জয়নুল আবেদীন খান, গাজী রহমত উল্লাহ দাদু, শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মীর্জা খয়বার হোসেন, লে. আরেফিন, শেখ ইউনুস আলী ইনু, স ম বাবর আলী, সাহিদুর রহমান কুটু, শেখ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ খুলনা শহর শত্রুমুক্ত করার মূল পরিকল্পনা করেন।

সে সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গল্লামারী রেডিও স্টেশন, খুলনা লায়ন্স স্কুল, পিএমজি কলোনী, শিপইয়ার্ড, ৭নং ঘাটের জেটী, টুটপাড়া, বয়রা ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন, ওয়াপদা ভবন, খালিশপুরের গোয়ালপাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গোয়ালখালী ও দৌলতপুরের কয়েকটি স্থানে অবস্থান করছিল। তখন সিদ্ধান্ত হয় যে, মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে খুলনা শহরে প্রবেশ করবে এবং কোনও বাধা এলে তা সশস্ত্রভাবে প্রতিহত করবে।

ফাহিম উদ্দিন ও লে. নোমান উল্লাহর নেতৃত্বে তার বাহিনী সেনের বাজার, রাজাপুর ও রূপসা ঘাটের দিক থেকে, বোরহান উদ্দিন ও তার বাহিনী ক্রিসেন্ট জুটমিল ও এর পাশে নৌঘাঁটিতে, মুজাহিদ ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার ও তার বাহিনী কুলুটিয়া নামক স্থানে অবস্থান নিয়ে খুলনা রেডিও স্টেশনে, আফজাল ও কুতুব উদ্দিন তাদের বাহিনী নিয়ে ঝড়ডাঙ্গা ও সাচিবুনিয়ার দিক থেকে পাক সেনাদের লায়ন্স স্কুলের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে খুলনা শহরের দিকে প্রবেশ করে।


এরপর মুক্তিযোদ্ধারা বেতারে শুনতে পান, মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মানেক শথ র আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি সেনারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ করছে, কিন্তু খুলনায় তারা আত্মসমর্পণে রাজি হচ্ছে না।

এই সংবাদ পাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা শহরের দিকে এগিয়ে যান। ১৬ ডিসেম্বর যে দিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে সেদিন খুলনা শহর ও এর আশপাশে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ চলছিল। সড়ক পথে যশোর রোড ধরে খুলনায় আসার পথে শিরোমনিতে মিত্র বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের ব্যাপক সংখ্যক হতাহত হয়।

১৭ ডিসেম্বর ভোরে শিপইয়ার্ডের কাছে রূপসা নদীতে বটিয়াঘাটা ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি লঞ্চ এসে পৌঁছে। কিন্তু শিপইয়ার্ডের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা পাক সৈন্যরা লঞ্চটির ওপর আক্রমণ চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। মুক্তিবাহিনীও লঞ্চ থেকে নেমে শিপইয়ার্ডের ওপারের ধান ক্ষেতে অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়।

অবশেষে সকল বাধা অতিক্রম করে ১৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। খুলনা সার্কিট হাউস দখল করার পর মেজর জয়নুল আবেদীন ও রহমত উল্লাহ দাদু যৌথভাবে সার্কিট হাউসে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।

এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, আবুল কালাম আজাদ, রেজাউল করিম, গাজী রফিকুল ইসলাম শহীদ হাদিস পার্কে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। মিত্র বাহিনী খুলনা শহরে প্রবেশ করার ৮ ঘণ্টা আগেই হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এরপর খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের দপ্তর থেকে ব্রিগেডিয়ার হায়াত খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানের দিকে রওনা হন।

পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজিত বিধ্বস্ত সৈন্যরাও সার্কিট হাউস ময়দানের দিকে রওনা হয়। রাস্তায় তখন হাজারো মানুষের ঢল নামে। সবার মুখে তখন ‘জয় বাংলা ধ্বনি। সবাই ছুটেন খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানের দিকে। ১৭ ডিসেম্বর সার্কিট হাউস ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পর সেখানে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ প্রাণভরে গ্রহণ করেন স্বাধীন বাংলার মুক্ত বাতাস।

 

 

 

   

নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেনকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করা মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝাঁড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আদালতের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলী, স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়ু হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ট। দোকানদারদের কাছ থেকে সে নিয়মিত চাঁদা নিতো। আর চাঁদা না দিলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দোকানীদের। শান্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করে না।

গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মোশারফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়। সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করে শান্তসহ তার বাহিনীরা। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। পরদিন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এরপর মোশাররফ হোসেন শান্তসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত নববর্ষের দিনে বাসস্ট্যান্ডে মোশারফ হোসেন শান্ত আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তার সাথে থাকা ১০-১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে। আমাকে বাঁচাতে ছেলে হৃদয় ছুটে আসলে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

‘ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক বিনিসুতোয় গাঁথা মালার মতো’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক বিনিসুতোয় গাঁথা মালার মতোই বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, এই সম্পর্ক কোনোদিনও ভাঙবে না।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কুমারখালির শিলাইদহে কুঠিবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে অ্যাম্ফিথিয়েটার চত্বরে 'পদ্মা নৌকায় ঠাকুর' সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আব্দুর রউফ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ভালবাসা ছিল বলেই সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিলেন।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সদর উদ্দিন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারেক জুবায়ের, কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান প্রমুখ।

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রখ্যাত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও সঙ্গীত শিল্পী ড. আনন্দ গুপ্ত।

প্রসঙ্গত, জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এ কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এ কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশ কিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষিত আছে তার স্মৃতিবিজরিত অনেক কিছু।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার সিরাজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের রবু মিয়ার ছেলে।

গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- এরশাদ, রিপন, জাকির, রিমন, রাকিব ইব্রাহিম ও সাহেরা বেগম। এর মধ্যে রিপন, রাকিব, জাকির ও রিমন প্রধান আসামি সিরাজের ছেলে। এরশাদ ও ইব্রাহিম একই এলাকার মিজানের ছেলে। অপর আসামি সাহেরা মিজানের স্ত্রী।

র‍্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও পানি সেচকে কেন্দ্র করে ভিকটম জোসনাদের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলাউদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোসনাকে মৃত ঘোষণা করে। আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে। অবশেষে মামলার এজাহারনামীয় ৬ জন ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

বান্দরবানে কেএনএফ’র আরও এক সদস্য কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক আরও এক জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রুয়াল থান লিয়ান বম (৩৩) বান্দরবানের রুমা উপজেলার ১ নম্বর পাইন্দু ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আরথাহ পাড়ার তুয়ালিন বমের ছেলে।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রুয়াল থান লিয়ান বমকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এপর্যন্ত মোট ৬৫ জন কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৬৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী রয়েছেন।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;