অজিদের সামনে শান্তদের ১৪১ রানের চ্যালেঞ্জ
ক্রিকেট কার্নিভালতানজিদ ফিরলেন খালি হাতে, অস্বস্তির শুরু নিয়ে লিটন ফিরলেন ৬৪ স্ট্রাইক রেটের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে এবং রিশাদ ব্যর্থ ফ্লোটারের ভূমিকায়। এদিকে ব্যাটে-বলে বিশ্বকাপে বিবর্ণ শুরুর পর এর আগে ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে দুই বিভাগেই দারুণ ছন্দে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তবে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারলেন না অজিদের বিপক্ষে। সেই রাস্তা দ্রুতই মাপলেন মাহমুদউল্লাহ ও আসরের দলের একাদশে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া মেহেদি হাসান। তবে মান বাঁচল কেবল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে। চাপ সামলে রানে ফেরার দিনে ৪১ রান করেন শান্ত, এদিকে ছন্দে থাকা হৃদয়ও ফিরেছেন ৪০ রান করে। এতে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ।
এদিকে একাদশে ফিরেই বল হাতে দারুণ পারফর্ম করলেন প্যাট কামিন্স। তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহদের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তার ঝুলিতেই। সঙ্গে করেছেন হ্যাটট্রিকও।
অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে বৃষ্টি নামায় টস হয়েছে ১৫ মিনিট দেরিতে। এদিনও টস ভাগ্য ছিল না বাংলাদেশের পক্ষে। টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুটা হলো ধাক্কা দিয়েই। ডাচদের বিপক্ষে রানে ফিরলেও নেপালের পর এই ম্যাচেও শূন্য রানে ফিরলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে লিটন-শান্তর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ সামলে নিয়েছিল অনেকখানি। সেখানে ২৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন লিটন। এদিকে রান রেট বাড়াতে ব্যাটিং অর্ডার বদলে ফ্লোটারের ভূমিকায় নামেন রিশাদ। তবে তা কাজে দিল না খুব একটা। কেবল ২ রান করে পরের ওভারেই আরেক স্পিনার ম্যাক্সওয়েলের বলে ফিরলেন তিনি।
বিশ্বকাপে আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ থেকেই রান খরা কাতছিল না শান্তর। তবে অজিদের বিপক্ষে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকেই। তবে সেটি হলো না অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন শান্ত। এর আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ বলে খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস।
ডাচদের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। তবে অজিদের বিপক্ষে কেবল ৮ রান করেই ফিরতে হলো তাকে। পরে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ (২) ও মেহেদি (০)। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ২৮ বলে ৪০ এবং ৭ বলে তাসকিনের ১৩ রানের ক্যামিওতে ১৪০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন কামিন্স এবং দুটি উইকেট নেন জ্যাম্পা।