আইসিসির বিরুদ্ধেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ!
ক্রিকেট কার্নিভালফিক্সিংয়ের কালো থাবা থেকে ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের দূরে রাখতে সব সময় সোচ্চার খেলাটির সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। কোনো রকম অনিয়ম চোখে পড়লেই তদন্তে নামে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করে জড়িত ক্রিকেটারের কঠোর শাস্তি। ফিক্সিংয়ের কারণে কত ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারটাই যে ধ্বংস হয়ে গেছে তার সঠিক হিসেব খোঁজে বের করা কঠিন।
তবে এবার জানা গেল ভিন্ন তথ্য। ফিক্সিং নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা যেই আইসিসির, তারাই নাকি স্বয়ং জড়িত ফিক্সিংয়ে! আইসিসির বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েড।
লয়েড আইসিসির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন মূলত হাই-ভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে কেন্দ্র করে। তার দাবি, আইসিসি জেনে বুঝেই গ্রুপপর্বে ভারত-পাকিস্তানকে এক গ্রুপে রাখে। যাতে এক টুর্নামেন্টে ফের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় দল দুটি। কেননা, এটি হলেই এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করতে পারবে সংস্থাটি। আর এই বিষয়টিকে আইসিসির পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা বলছেন তিনি। যাকে ফিক্সিংয়ের সঙ্গেও তুলনা করেছেন লয়েড।
আইসিসির দিকে আঙুল তুলে লয়েড বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটে ফিক্সিং সম্পর্কে দীর্ঘ দিন ধরেই কঠিন সব কথা বলছি। কিন্তু দেখুন এটি পূর্বনির্ধারিত (ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ)। এটি একটি বড় ইভেন্টের জন্য ঠিক করা হয়েছে।’
লয়েড আরও বলেন, ‘এরকম রোম্যান্সকর বিষয় যদি তারা চিত্রায়িত করতে পারে, তবে তারা যা নয় তাই করতে পারবে। আর তারা যদি এটি করে তবে এতে রোমান্স থাকবে নিশ্চয়। এখানে এমন কিছু থাকবে যাতে দর্শকরা অপেক্ষা করে থাকে। যদি এটি ঘটে তবে এটি একটি ইভেন্টে পরিণত হবে। আর তখন আপনি জানবেন ম্যাচটি নিজেই একটি ইভেন্ট। আপনি এটি ঠিক করতে পারবেন না।’
এছাড়াও ভারতকে বেশি সুবিধা দেওয়ায় আইসিসির দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। কেননা, এই বিশ্বকাপে ভারতই একমাত্র দল যারা কিনা, আসর শুরুর আগেই জেনে গিয়েছিল সেমিফাইনালে তারা কোথায় খেলবে। যা নিয়ে লয়েড বলেন, ‘আমরা যে ফিক্স করি এটি হলো তার একমাত্র উদাহরণ। আমরা এই নির্দিষ্ট বিশ্বকাপেই অনেক কিছু ফিক্স করেছি। জিনিসগুলি সুন্দরভাবে তুলে ধরতে নিপুণভাবে পরিচালনা করেছি। কিন্তু এটা ঠিক নয়।’