সেমিতে আফগানরা শেষ ৫৬ রানেই!
ক্রিকেট কার্নিভালপ্রথম বারের মতো সেমিফাইনালে উঠে আফগানিস্তান যেন উড়ছিল। তবে তাদেরকে শেষমেশ মাটিতে নামিয়ে আনল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেমিফাইনালে ৫৬ রানে অলআউট করে ফেলেছে দলটাকে। ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়তে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্যটা এখন মোটে ৫৭ রানের।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু তখন কি জানতেন তিনি, ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামের উইকেট এমন চমক নিয়ে অপেক্ষায় আছে তাদের? সঙ্গে যোগ করুন দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণকে। সব কিছুর মিশেলই এই অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স।
শুরুটা হয়েছিল ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে দিয়ে। মার্কো ইয়ানসেন নিজের পরের ওভারে তুলে নিলেন দুইয়ে নামা গুলবাদিন নাইবকেও। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে কাগিসো রাবাদা এসে তুলে নিলেন অন্য ওপেনার ইবরাহিম জাদরানকে, এরপর মোহাম্মদ নবীকেও দেখালেন সাজঘরের রাস্তা। ২০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে আফগানরা।
এরপর নানগেলিয়া খারোতের উইকেটটা তুলে ফেলেন ইয়ানসেন। তাতে পাওয়ারপ্লের ভেতরই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে দলটা। আইসিসির নকআউট প্রথম বারের মতো দেখল এমন কিছু।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই প্রতি আক্রমণে এর জবাবটা দিতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি স্রেফ আনরিখ নরকিয়ার পাতা ফাঁদে পাই দিতে পারলেন শেষমেশ। যাওয়ার আগে করেন ১০ রান, যা আফগানদের ইনিংস সর্বোচ্চ। ২৮ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে আফগানরা।
রশিদ খান আর করিম জানাত মিলে একটা চেষ্টা করেছিলেন ক্ষতিটা পুষিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তাদের ২২ রানের জুটিটা শেষ হয় জানাত তাবরেইজ শামসির শিকার বনে গেলে। এরপর আফগানদের ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। শামসি নুর আহমেদ আর নাভিন উল হককে ফেরালেন; আর নরকিয়ার শিকার বনলেন রশিদ।
আফগানিস্তান অলআউট হয় ৫৬ রান তুলে। গড়ে ফেলে নিজেদের ইতিহাসের তো বটেই, বিশ্বকাপ নকআউটের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড।