‘চোকার্স’ তকমা বিদায় করে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রোটিয়ারা
ক্রিকেট কার্নিভাল২৪০ বলের ম্যাচ শেষ স্রেফ ১২৪ বলে। সেটিও আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের মঞ্চে। বিশ্বকাপের নবম এই আসরের প্রথম সেমিতে প্রোটিয়াদের সামনে স্রেফ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানরা। মামুলি সেই লক্ষ্য ৯ উইকেট হাতে রেখেই ৮ ওভার ৫ বলে তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
৯ উইকেটের দাপুটে এই জয় দিয়ে ২৬ বছর পর আইসিসি কোনো ইভেন্টে ফাইনালে পৌঁছাল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই ‘প্রথম’। এর আগে সবশেষ ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। সেবার তারা জিতেছিল শিরোপাটাও। তবে এরপর আইসিসির ১০টি ইভেন্টের (একটি ড্র) সেমিতে উঠলেও ফাইনালে পৌঁছানো হয়েছিল না তাদের। অবশেষে সেমির হারের সেই ‘চোকার্স’ তকমা ছাপিয়ে ১১তম বারের চেষ্টায় সফল মার্করাম-ক্লাসেনরা।
মামুলি সেই লক্ষ্য করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানের মাথায় ওপেনার কুইন্টন ডি কককে ফেরান ফজলহক ফারুকি। তবে এরপর আর কোনো বিপত্তি আসতে দেয় প্রোটিয়া ব্যাটাররা। দ্বিতীয় উইকেটে রিজা হেন্ড্রিক্স ও অধিনায়ক এইডেন মার্করামের অপরাজিত ৫৫ রানের জুটিতে ৮ ওভার ৫ বলেই লক্ষ্য ছাড়িয়ে ৬০ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এতেই নিজেদের স্বপ্নের বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমবারের মতো উঠে যায় মার্করাম-শামসিরা। সর্বোচ্চ ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হেন্ড্রিক্স, এদিকে মার্করাম করেন ২৩ রান।
এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই রানে খাতা না খোলা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে সাজঘরে ফেরান ইয়ানসেন। এদিন খালি হাতে ফিরলেও আসর জুড়ে ছন্দে থাকা এই ব্যাটারই এখন পর্যন্ত আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে। ৮ ম্যাচে ৩৫.১২ গড়ে তার ব্যাটে আসে ২৮১ রান। এদিকে সর্বোচ্চ উইকেটের শীর্ষস্থানটাও আপাতত আফগানদের দলে। ৮ ম্যাচে ফারুকি নিয়েছেন ১৭ উইকেট।
গুরবাজের উইকেটের পর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানরা। বাকি ব্যাটারদের কেউই আর ধরতে পারেননি ম্যাচের হাল। এমনকি ব্যক্তিগত দুই অঙ্কের ইনিংস এসেছে কেবল আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের (১০) ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত ১১ ওভার ৫ বলে আফগানদের সংগ্রহ থামে ৫৬ রানে।
প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচে ৩ উইকেট নেন ইয়ানসেন। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। এদিকে ১ ওভার ৫ বলে স্রেফ ৬ রান দিয়ে সমান ৩ উইকেট নিয়েছেন শামসিও।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: প্রথম সেমিফাইনাল
আফগানিস্তান: ৫৬ (১১.৫ ওভার) (ওমরজাই ১০; শামসি ৩/৬, ইয়ানসেন ৩/১৬)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬০/১ (৮.৫ ওভার) (হেন্ড্রিক্স ২৯*, মার্করাম ২৩*; ফারুকি ১/১১)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মার্কো ইয়ানসেন