অ্যাডিলেডের প্রতিশোধ নিতে পারবে তো ভারত?

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ভারত। অ্যাডিলেডের সেই ম্যাচে ভারতকে ১০ উইকেটে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল ইংলিশরা। বিশাল ব্যবধানের সেই জয়ের পর ফাইনালের শিরোপাটাও তুলে ধরেছিল তারা। এবার আরও একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার ঠিক এক ধাপ বাকি, যেখানে ভারতের প্রতিপক্ষ সেই ইংল্যান্ডই।

ম্যাচটা ভারতের জন্য বলতে গেলে প্রতিশোধের। সেই হারের দুঃখ আজ গায়ানার মাঠে ভুলে যেতে চান রোহিত শর্মারা। অপরদিকে ইংল্যান্ড প্রস্তুত সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে। ভারতের বিপক্ষে জয় তুলে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার নজিরও গড়তে চায় জশ বাটলারের দল।

এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত গায়ানা প্রভিন্সে ম্যাচ হয়েছে মোট ৫টি। যেখানে বড় রানের দেখা মিলেছে। যদিও এই মাঠে প্রতিপক্ষ দলগুলো ছিল আইসিসির সহযোগী দেশ। তবে বড় দলগুলোর মধ্যে এই মাঠে হয়েছিল আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৫৯ রান করে আফগানরা। যার জবাবে ৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এছাড়াও এবারের বিশ্বকাপে উগান্ডার বিপক্ষে এই মাঠে ১৮৩ রান তুলেছিল আফগানিস্তান।

তবে এই মাঠের সর্বোচ্চ রানটা ইংল্যান্ডের, যদিও সেটি অনেক বছর আগের ঘটনা। ২০১০ সালে এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯১ রান তুলেছিল ইংলিশরা। অপরদিকে এই মাঠে ভারতের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ১৬৪ রান। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এসে এই রান করেছিল রোহিত-কোহলিরা।

কাজেই এই মাঠে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে বোলারদের সেটা ধারণা করে নেওয়াই যায়। সেই পরীক্ষায় তুলনামূলক ভারতেরই এগিয়ে থাকার কথা। কেননা, বিশ্বকাপে ইংলিশ বোলারদের চেয়ে উইকেট তোলার বিচারে বেশ এগিয়েই আছে ভারতীয় বোলাররা। এক আরশদীপ সিং ই শিকার করেছেন ৬ ম্যাচে ১৫ উইকেট। ফজলহক ফারুকীর ১৭ উইকেটের পর যা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

ভারতের সেই পেসার এই ম্যাচে অপেক্ষায় আছেন ফারুকীকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ভারতের আরেক তারকা পেসার জশপ্রিত বুমরাহর উইকেট সংখ্যা ১১টি। এ তালিকায় ইংলিশদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে পেসার জোফরা আর্চার। তার উইকেট সংখ্যা ৯টি। তার সমান উইকেট আদিল রাশিদেরও।

তবে এই ম্যাচে গুরুদায়িত্বটা থাকবে দুই দলের দুই ওপেনার ও অধিনায়ক জশ বাটলার এবং রোহিত শর্মার। দু’জনেই আছেন দারুণ ছন্দে। দু’জনেরই রান সমান ১৯১। রোহিত যদিও এক ইনিংস কম খেলেছেন বাটলারের থেকে। স্ট্রাইকরেটও একই সমান ১৫৯। তাই এই দু’জনের মধ্যেও চলবে ব্যাটিংয়ের লড়াইটা। আর এই লড়াইয়ে যে এগিয়ে যাবে, জয়টা যে তারাই পেতে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অবশ্য এই দু’দলের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে কোনো দলকে এককভাবে এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। কেননা, এ দু’দল এখন পর্যন্ত মোট ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে যার মধ্যে ভারতের ১২ জয়ের বিপরীতে ১১ জয় আছে ইংল্যান্ডেরও। তাই লড়াইটা যে হতে যাচ্ছে সেয়ানে সেয়ানে তা বলাই যা।

তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হচ্ছে, ম্যাচের সময় বেশ ভালোই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ সম্ভাবনা আছে বৃষ্টির। যা অবশ্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ডের জন্য। কেননা, কোনো কারণে বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে রিজার্ভ ডে না থাকায় দু’দলের মধ্যে যেই দল এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে এগিয়ে রয়েছে তাদেরকে তুলে দেওয়া হবে ফাইনালে। আর এখানটাতেই ভারত অবশ্য আছে স্বস্তিতে। এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচেই হারেনি তারা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড হেরেছে অজিদের বিপক্ষে।

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোর শেষ ষোলোর আলাদা দুটি ম্যাচ আজ রাতে নামবে ইংল্যান্ড ও স্পেন। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ (শেষ ষোলো)
ইংল্যান্ড-স্লোভাকিয়া
রাত ১০টা, সনি স্পোর্টস টেন ২, টি স্পোর্টস

স্পেন-জর্জিয়া
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২, টি স্পোর্টস

মেয়েদের টেস্ট (৩য় দিন)
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা
সকাল ১০টা, টি স্পোর্টস অ্যাপ, স্পোর্টস ১৮-১

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

লাওতারোর জোড়া গোলে জিতল আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেরুর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছে ২-০ গোলে। জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনার এই জয়ের নায়ক বনে গেছেন লাওতারো মার্তিনেজ।

চোটের কারণে আজ লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। নিষেধাজ্ঞার কারণে কোচ লিওনেল স্কালোনিকেও পায়নি আলবিসেলেস্তেরা। তবে লাওতারো তাদের অভাবটা বুঝতে দিলেন না মোটেও। 

মেসির ইন্টার মায়ামির মাঠ হার্ড রক স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই ছড়ি ঘুরিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শুরু থেকেই গড়েছে সুযোগের পরে সুযোগ। তবু প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি দলটা। 

আর্জেন্টিনার গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ৪৭ মিনিটে। দারুণ বিল্ড আপ শেষে আনহেল দি মারিয়ার পাস চলে যায় লাওতারো মার্তিনেজের কাছে। তিনি গোল করে ম্যাচের ৪৭ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। এরপর ৮৬ মিনিটে তিনি করেছেন দলের জয় নিশ্চিত করার গোলটাও। 

আর্জেন্টিনা আরও গোল পেতে পারত বটে। ৫৫ মিনিটে কর্নার থেকে নিকলাস তালিয়াফিকোর গোল বাতিল হয় ফাউলের কারণে। ৬৯ মিনিটে লিয়ান্দ্রো পারেদেস করেছেন পেনাল্টি মিস। 

এরপরও অবশ্য আকাশী-সাদারা হাসিমুখ নিয়েই ম্যাচটা শেষ করেছে। তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে চলে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

শিরোপা জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন কোহলি 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ের এর থেকে ভালো মুহূর্ত আর যেন হতেই পারেনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে ব্যাট হাতে ছন্দহীন সময় পার করছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ফাইনালে এসে জ্বলে উঠল এই তারকার ব্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেললেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। জিতলেন ফাইনালের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং জানিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের অবসরের ঘোষণাটাও। 

আসর শুরু আগ থেকেই অনেকের ধারণা ছিল এটিই হতে চলেছে কোহলির শেষ বিশ্বকাপ। তবে সেমি পর্যন্ত তার পারফর্ম যেন মোটেও ছিল না মানানসই। হয়তো এমন ছন্দহীন চেয়েছিলেন না কোহলি নিজেও। তবে অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেই রানে ফিরলেন তিনি এবং বিদায়টা রাঙিয়ে রাখলেন শিরোপা উঁচিয়ে ধরে। 

সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আসরের ৭ ম্যাচে মিলে ১০.৭১ গড় এবং ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৭৫ রান করেছিলেন কোহলি। সেই রান খরা কাটিয়ে ফাইনালে ৫৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করলেন ৭৬ রান, যা আগের ৭ ম্যাচের রানের চেয়ে ১ বেশি। এতে রোহিতের সেই কথাগুলোও যেন একদিন বাদেই মিলে গেল। ‘আমরা বুঝি সে (কোহলি) কোন মানের ক্রিকেটার। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়।’ 

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদায়ের ঘোষণা নিজেই দিলেন কোহলি। সেখানে ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘এটাই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবং আমরা এটাই অর্জন করতে চেয়েছিলাম। একদিন আপনি অনুভব করবেন যে আপনি রান পাচ্ছেন না, তারপর ঘটবে এমন কিছু (৭৬ রানের ইনিংস)। ঈশ্বর মহান, এবং আমি দলের জন্য কাজটি গুরুত্বপূর্ণ দিনেই সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখন বা আর কখনই নয়, ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।’

১৪ বছর আগে ২০১০ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগমন কোহলির। সেখান থেকে আজকের ম্যাচ পর্যন্ত ভারতের জার্সি গায়ে খেললেন ১২৫ ম্যাচ। ৪৮.৬৯ ব্যাটিং গড় এবং ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪১৮৮, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিকে ফাইনালের এই ম্যাচ ৭৬ রান দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৫ ম্যাচে ১২৯২ রান করলেন কোহলি। এই ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য সবাইকে ছাড়িয়ে আছেন শীর্ষে।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ শিরোপা ভারতের 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল, ২০২১ ও ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। আইসিসির এই পাঁচ ইভেন্টে রানার্স-আপ দল একটিই, ভারত। তবে রোহিত-কোহলিদের জন্য নম্বর ‘সিক্স’ হয়ে থাকল ‘লাকি’। কেননা ষষ্ঠবারের প্রচেষ্টায় এবার আর ব্যর্থ হলো না ভারত। প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল রোহিত শর্মার দলটি। 

প্রোটিয়াদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ করে যেন সূর্যকুমারের ওই এক ক্যাচেই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। স্ট্রাইকে ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে সজোরে উড়িয়ে মারলেন মিলার। তবে লং অফে বাউন্ডারিতে স্কাইয়ের দু’বারের প্রচেষ্টায় সেই অসাধারণ ক্যাচ এবং শিরোপা ফসকে গেল প্রোটিয়াদের হাত থেকে। শেষ পর্যন্ত বাকি পাঁচ বলে তারা তোলে ৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান এবং ৭ রানে জিতে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে রোহিত-কোহলিরা। 

এদিকে ভারতের এই শিরোপা জয়ে বড় অবদান হার্দিকের শেষ দুই ওভার। অক্ষর প্যাটেল এক ওভারে ২৩ রান দেওয়ার পর ৩০ বলে প্রোটিয়াদের জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় কেবল ৩০ রানের। সেখানে বিধ্বংসী রুপে এগোচ্ছিলেন ক্লাসেন। ১৭তম ওভারে এই ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা ফেরায় হার্দিক এবং শেষ ওভারে মিলারকে ফিরিয়ে তা করেন অনেকটাই পাকাপোক্ত। এতেই ইনিংসে শেষ বল করার পর হার্দিকের চোখের পানিই বলে দিচ্ছিল এই শিরোপা কতখানি চাওয়ার। 

ভারতের ব্যাটিং ইনিংসটা এদিন অনেকটা ছিল বিরাট কোহলিকে ঘিরে। কেননা দলের অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেি রানে ফিরলেন তিনি। করলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৭৬ রান। দলের জয় বড় অবদান রেখে জিতলেন ফাইনাল ম্যাচের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বলে দিলেন বিদায়।

কেনসিংটন ওভালে এদিন ভারতের জয়টা শুরু টস দিয়েই। সেখানে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের রেকর্ড সংগ্রহ তোলে তার দল। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ১২ রানের মাথাতেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তবে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ডি ককের ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ অনেকটাই নিয়েছিল সামলে। সেখানে স্টাবস ৩১ রানে ফিরলেও ডি কক এগোচ্ছিল পিচে থিতু হয়ে। তবে দলীয় ১০৬ রানের মাথায় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখান আর্শদীপ। ৩১ বলে ডি কক করেন ৩৯ রান। 

এরপরই শুরু হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়। ২৩ বলে তিনি তুলে নেন ফিফটি এবং অক্ষরকে সেই ওভারে তুলধুনোর পর জয়ের একদম দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ বলে লাগত স্রেফ ৩০ রান। তবে সেখানে শেষ পাঁচ ওভারে বুমরাহ-আর্শদীপ-হার্দিকের পেসের সামনে দাঁড়াইতেই পারল না প্রোটিয়ারা এবং তাদের সংগ্রহ থামল ১৬৯ রানেই। সেখানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হার্দিক। এদিকে দুটি করে উইকেট নেন আর্শদীপ ও বুমরাহ। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ঝোড়ো পেয়েছিল ভারত। প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৫ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারেই বড় ধাক্কা খায় ভারত। কেশভ মহারাজের জোড়া আঘাতে তিন বলের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত ও পান্ত। পরে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় চাপ বাড়িয়ে ফেরনে সূর্যকুমার যাদবও। 

আসরের ফাইনালে এসে রানে ফেরার দিনে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে শুরুর সেই চাপ সামলে নেন কোহলি। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭২ রানের সময় উপযোগী জুটি। সেখানে অক্ষর ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেও ছন্দে এগোতে থাকেন কোহলি। পরে দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় ইয়ানসেনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন শিবাম দুবে। আর এতেই ১৭৬ রানের বিশ্বকাপের ফাইনালের রেকর্ড সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। প্রোটিয়াদের হয়ে সেখানে দুটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও নর্কিয়া। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, আকসার ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ৩৯, মার্করাম ৪, স্টাবস ৩১, ক্লসেন ৫২, মিলার ২১, ইয়ানসেন ২, মহারাজ ২*, রাবাদা ৪, নরকিয়া ১*; আর্শদিপ ৪-০-২০-২, বুমরাহ ৪-০-১৮-২, আকসার ৪-০-৪৯-১, কুলদিপ ৪-০-৪৫-০, পান্ডিয়া ৩-০-২০-৩, জাদেজা ১-০-১২-০)

ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী
ফাইনাল সেরা: বিরাট কোহলি
টুর্নামেন্ট সেরা: জাসপ্রিত বুমরাহ

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;