ভারতকে আইসিসি সুবিধা দেয়, এমন অভিযোগের জবাব দিলেন রোহিত

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতকে সবসময়ই বাড়তি সুবিধা দেয় আইসিসি, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি সাধারণ দর্শক এবং অন্যান্য দলের সমর্থকদের এই অভিযোগটা বেশ পুরনো। যে অভিযোগটি চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও উঠেছে। যেখানে বলা হচ্ছে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিতে বাকি দলগুলোর সঙ্গে অন্যায় করছে আইসিসি।

সেমির আগে সংবাদ সম্মেলনে আসা ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে এই বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি অবশ্য এমনটা মনে করেন না। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে মাথাও ঘামাতে নারাজ রোহিত। তার মতে, এটা আইসিসির মাথাব্যথার বিষয়, তার নয়।

ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া নিয়ে আইসিসির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েড ও মাইকেল ভনও প্রশ্ন তুলেছেন। গতকাল লয়েডের বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতকে একই গ্রুপে ইচ্ছে করেই রেখেছে আইসিসি। এটা তাদের পূর্ব পরিকল্পনার অংশ। যাতে এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করা যায়। আর সঙ্গে এক আসরে দুইবার দুটি দলের দেখা হয়। বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা তাও নয়।

তাছাড়া এবারের বিশ্বকাপে ভারতই একমাত্র দল যারা কিনা, আসর শুরুর আগেই জেনে গিয়েছিল সেমিফাইনালে তারা কোথায় খেলবে। যা নিয়ে লয়েড প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমরা যে ফিক্স করি এটি হলো তার একমাত্র উদাহরণ। আমরা এই নির্দিষ্ট বিশ্বকাপেই অনেক কিছু ফিক্স করেছি। জিনিসগুলি সুন্দরভাবে তুলে ধরতে নিপুণভাবে পরিচালনা করেছি। কিন্তু এটা ঠিক নয়।’

সাধারণত যেই দল সবার পরে সেমিফাইনালে উঠে তারাই খেলেন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। যাতে ম্যাচে নামার আগে বাকি দলগুলোর মতোই কিছুটা সময় পায় সবার পরে সেমি নিশ্চিত করা দল। সে হিসেবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলার কথা আফগানিস্তানের। তবে সেটি হয়নি এক্ষেত্রে। কেননা, ভারতের সেমিফাইনালের ভেন্যু ও তাদের সুবিধা মতো সময় আগেই চূড়ান্ত হয়ে ছিল। যাকে বাকিদের জন্য অন্যায় বলেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ভন।

তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে ম্যাচটি (আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা) গায়ানায় (প্রথম সেমিফাইনাল) হতে পারত। কিন্তু পুরো ইভেন্টই যখন ভারতকে লক্ষ্য করে সাজানো, তখন অন্যদের সঙ্গে খুবই অন্যায় হয়ে গেছে।’

এসব বিষয় নিয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রোহিতকে। যার উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এটা কোনো সুবিধা। এখানকার অনেক ক্রিকেটারই আলাদা মাঠে খেলেছে। আমি নিশ্চিত ইংল্যান্ডেরও অনেক ক্রিকেটার এই মাঠে খেলেছে। কাজেই এটা কোনো সুবিধা নয়। দিনশেষে আপনি ভালো ক্রিকেট খেলতে এবং ম্যাচ জিততে চান। আমি বিষয়টাকে এভাবেই দেখছি।

প্রথম সেমিফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হলেও এই ম্যাচে নেই। বলা হয়েছে এই ম্যাচ কোনো কারণে বৃষ্টির কারণে না হলে জয় পাবে দু’দলের মধ্যে টুর্নামেন্টে যেই দল বেশি ভালো করেছে। সে হিসেবে কোনো ম্যাচে না হারায় ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে ভারত। অর্থাৎ খেলা না হলেও ফাইনালে উঠে যাবে ভারত। এখানেও বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত।

তবে রোহিত সেটা মানতে নারাজ। তার মতে, ‘দেখুন কন্ডিশনের ওপর কারো হাত নেই। আমরা জানি না কি হতে চলেছে। আমি চিন্তিত শুধুমাত্র এটা নিয়ে যে, যদি খেলাটি দেরিতে শেষ হয়, আর আমরা যদি আমাদের চার্টার ফ্লাইট মিস করি। অবশ্য আমাদের পরবর্তী ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়া আইসিসি এবং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাথাব্যথা। আর আমাদের ভাবনা কীভাবে এই খেলাটি ভাল খেলতে পারি এবং আমাদের পক্ষে ফলাফল পেতে পারি।’

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোর শেষ ষোলোর আলাদা দুটি ম্যাচ আজ রাতে নামবে ইংল্যান্ড ও স্পেন। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ (শেষ ষোলো)
ইংল্যান্ড-স্লোভাকিয়া
রাত ১০টা, সনি স্পোর্টস টেন ২, টি স্পোর্টস

স্পেন-জর্জিয়া
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২, টি স্পোর্টস

মেয়েদের টেস্ট (৩য় দিন)
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা
সকাল ১০টা, টি স্পোর্টস অ্যাপ, স্পোর্টস ১৮-১

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

লাওতারোর জোড়া গোলে জিতল আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেরুর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছে ২-০ গোলে। জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনার এই জয়ের নায়ক বনে গেছেন লাওতারো মার্তিনেজ।

চোটের কারণে আজ লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। নিষেধাজ্ঞার কারণে কোচ লিওনেল স্কালোনিকেও পায়নি আলবিসেলেস্তেরা। তবে লাওতারো তাদের অভাবটা বুঝতে দিলেন না মোটেও। 

মেসির ইন্টার মায়ামির মাঠ হার্ড রক স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই ছড়ি ঘুরিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শুরু থেকেই গড়েছে সুযোগের পরে সুযোগ। তবু প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি দলটা। 

আর্জেন্টিনার গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ৪৭ মিনিটে। দারুণ বিল্ড আপ শেষে আনহেল দি মারিয়ার পাস চলে যায় লাওতারো মার্তিনেজের কাছে। তিনি গোল করে ম্যাচের ৪৭ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। এরপর ৮৬ মিনিটে তিনি করেছেন দলের জয় নিশ্চিত করার গোলটাও। 

আর্জেন্টিনা আরও গোল পেতে পারত বটে। ৫৫ মিনিটে কর্নার থেকে নিকলাস তালিয়াফিকোর গোল বাতিল হয় ফাউলের কারণে। ৬৯ মিনিটে লিয়ান্দ্রো পারেদেস করেছেন পেনাল্টি মিস। 

এরপরও অবশ্য আকাশী-সাদারা হাসিমুখ নিয়েই ম্যাচটা শেষ করেছে। তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে চলে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

শিরোপা জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন কোহলি 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ের এর থেকে ভালো মুহূর্ত আর যেন হতেই পারেনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে ব্যাট হাতে ছন্দহীন সময় পার করছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ফাইনালে এসে জ্বলে উঠল এই তারকার ব্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেললেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। জিতলেন ফাইনালের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং জানিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের অবসরের ঘোষণাটাও। 

আসর শুরু আগ থেকেই অনেকের ধারণা ছিল এটিই হতে চলেছে কোহলির শেষ বিশ্বকাপ। তবে সেমি পর্যন্ত তার পারফর্ম যেন মোটেও ছিল না মানানসই। হয়তো এমন ছন্দহীন চেয়েছিলেন না কোহলি নিজেও। তবে অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেই রানে ফিরলেন তিনি এবং বিদায়টা রাঙিয়ে রাখলেন শিরোপা উঁচিয়ে ধরে। 

সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আসরের ৭ ম্যাচে মিলে ১০.৭১ গড় এবং ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৭৫ রান করেছিলেন কোহলি। সেই রান খরা কাটিয়ে ফাইনালে ৫৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করলেন ৭৬ রান, যা আগের ৭ ম্যাচের রানের চেয়ে ১ বেশি। এতে রোহিতের সেই কথাগুলোও যেন একদিন বাদেই মিলে গেল। ‘আমরা বুঝি সে (কোহলি) কোন মানের ক্রিকেটার। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়।’ 

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদায়ের ঘোষণা নিজেই দিলেন কোহলি। সেখানে ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘এটাই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবং আমরা এটাই অর্জন করতে চেয়েছিলাম। একদিন আপনি অনুভব করবেন যে আপনি রান পাচ্ছেন না, তারপর ঘটবে এমন কিছু (৭৬ রানের ইনিংস)। ঈশ্বর মহান, এবং আমি দলের জন্য কাজটি গুরুত্বপূর্ণ দিনেই সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখন বা আর কখনই নয়, ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।’

১৪ বছর আগে ২০১০ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগমন কোহলির। সেখান থেকে আজকের ম্যাচ পর্যন্ত ভারতের জার্সি গায়ে খেললেন ১২৫ ম্যাচ। ৪৮.৬৯ ব্যাটিং গড় এবং ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪১৮৮, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিকে ফাইনালের এই ম্যাচ ৭৬ রান দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৫ ম্যাচে ১২৯২ রান করলেন কোহলি। এই ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য সবাইকে ছাড়িয়ে আছেন শীর্ষে।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ শিরোপা ভারতের 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল, ২০২১ ও ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। আইসিসির এই পাঁচ ইভেন্টে রানার্স-আপ দল একটিই, ভারত। তবে রোহিত-কোহলিদের জন্য নম্বর ‘সিক্স’ হয়ে থাকল ‘লাকি’। কেননা ষষ্ঠবারের প্রচেষ্টায় এবার আর ব্যর্থ হলো না ভারত। প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল রোহিত শর্মার দলটি। 

প্রোটিয়াদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ করে যেন সূর্যকুমারের ওই এক ক্যাচেই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। স্ট্রাইকে ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে সজোরে উড়িয়ে মারলেন মিলার। তবে লং অফে বাউন্ডারিতে স্কাইয়ের দু’বারের প্রচেষ্টায় সেই অসাধারণ ক্যাচ এবং শিরোপা ফসকে গেল প্রোটিয়াদের হাত থেকে। শেষ পর্যন্ত বাকি পাঁচ বলে তারা তোলে ৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান এবং ৭ রানে জিতে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে রোহিত-কোহলিরা। 

এদিকে ভারতের এই শিরোপা জয়ে বড় অবদান হার্দিকের শেষ দুই ওভার। অক্ষর প্যাটেল এক ওভারে ২৩ রান দেওয়ার পর ৩০ বলে প্রোটিয়াদের জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় কেবল ৩০ রানের। সেখানে বিধ্বংসী রুপে এগোচ্ছিলেন ক্লাসেন। ১৭তম ওভারে এই ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা ফেরায় হার্দিক এবং শেষ ওভারে মিলারকে ফিরিয়ে তা করেন অনেকটাই পাকাপোক্ত। এতেই ইনিংসে শেষ বল করার পর হার্দিকের চোখের পানিই বলে দিচ্ছিল এই শিরোপা কতখানি চাওয়ার। 

ভারতের ব্যাটিং ইনিংসটা এদিন অনেকটা ছিল বিরাট কোহলিকে ঘিরে। কেননা দলের অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেি রানে ফিরলেন তিনি। করলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৭৬ রান। দলের জয় বড় অবদান রেখে জিতলেন ফাইনাল ম্যাচের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বলে দিলেন বিদায়।

কেনসিংটন ওভালে এদিন ভারতের জয়টা শুরু টস দিয়েই। সেখানে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের রেকর্ড সংগ্রহ তোলে তার দল। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ১২ রানের মাথাতেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তবে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ডি ককের ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ অনেকটাই নিয়েছিল সামলে। সেখানে স্টাবস ৩১ রানে ফিরলেও ডি কক এগোচ্ছিল পিচে থিতু হয়ে। তবে দলীয় ১০৬ রানের মাথায় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখান আর্শদীপ। ৩১ বলে ডি কক করেন ৩৯ রান। 

এরপরই শুরু হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়। ২৩ বলে তিনি তুলে নেন ফিফটি এবং অক্ষরকে সেই ওভারে তুলধুনোর পর জয়ের একদম দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ বলে লাগত স্রেফ ৩০ রান। তবে সেখানে শেষ পাঁচ ওভারে বুমরাহ-আর্শদীপ-হার্দিকের পেসের সামনে দাঁড়াইতেই পারল না প্রোটিয়ারা এবং তাদের সংগ্রহ থামল ১৬৯ রানেই। সেখানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হার্দিক। এদিকে দুটি করে উইকেট নেন আর্শদীপ ও বুমরাহ। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ঝোড়ো পেয়েছিল ভারত। প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৫ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারেই বড় ধাক্কা খায় ভারত। কেশভ মহারাজের জোড়া আঘাতে তিন বলের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত ও পান্ত। পরে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় চাপ বাড়িয়ে ফেরনে সূর্যকুমার যাদবও। 

আসরের ফাইনালে এসে রানে ফেরার দিনে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে শুরুর সেই চাপ সামলে নেন কোহলি। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭২ রানের সময় উপযোগী জুটি। সেখানে অক্ষর ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেও ছন্দে এগোতে থাকেন কোহলি। পরে দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় ইয়ানসেনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন শিবাম দুবে। আর এতেই ১৭৬ রানের বিশ্বকাপের ফাইনালের রেকর্ড সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। প্রোটিয়াদের হয়ে সেখানে দুটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও নর্কিয়া। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, আকসার ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ৩৯, মার্করাম ৪, স্টাবস ৩১, ক্লসেন ৫২, মিলার ২১, ইয়ানসেন ২, মহারাজ ২*, রাবাদা ৪, নরকিয়া ১*; আর্শদিপ ৪-০-২০-২, বুমরাহ ৪-০-১৮-২, আকসার ৪-০-৪৯-১, কুলদিপ ৪-০-৪৫-০, পান্ডিয়া ৩-০-২০-৩, জাদেজা ১-০-১২-০)

ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী
ফাইনাল সেরা: বিরাট কোহলি
টুর্নামেন্ট সেরা: জাসপ্রিত বুমরাহ

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;