মাটি খাওয়ার কারণ জানালেন রোহিত

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ততক্ষণে শেষ। ভারতীয় দলের সবাই তখন শিরোপা নিয়ে উদযাপনে ব্যস্ত। ঠিক তখনই এক অদ্ভুত কাণ্ড করলেন ভারতের সদ্য বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফাইনাল ম্যাচটি যে পিচে হয়েছে সেখানে গেলেন এবং একটু মাটি আঙুল দিয়ে তুলে নিয়ে মুখের ভেতর নিয়ে নিলেন!

পরদিন আইসিসির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশ পেতেই শুরু হয়ে যায় আলোচনার ঝড়। কেন এই কাজ করেছিলেন রোহিত? ঠিক কোন ভাবনা থেকে এই আজব কাজটি করলেন তিনি? এই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ে অন্তর্জালে। সেই প্রশ্নের জবাবটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক ভিডিওতে দিলেন রোহিত নিজেই।

তিনি বলেন, ‘আগে থেকে কিছুই ঠিক করিনি। এই মুহূর্তটা উপভোগ করছিলাম। পিচটা আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েছে। এই মাঠ, এই পিচ আমি ভুলতে পারব না। তাই এর একটা অংশ আমি নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলাম। এই মুহূর্তগুলো খুবই স্পেশাল। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল। আমি কিছু একটা নিয়ে যেতে চাইছিলাম। সেই কারণেই মাটি খেয়েছিলাম।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছিল ভারত। তবে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল প্রোটিয়ারা বুঝি ম্যাচটা বের করেই নিচ্ছে। ৩০ বলে ৩০ রান দরকার ছিল তাদের। সে পরিস্থিতি থেকে শেষমেশ ম্যাচটা ৭ রানে জিতেছে ভারত। 

ম্যাচটা এখনও মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না রোহিত, ‘বিশ্বাস করাটা কঠিন। স্বপ্ন-স্বপ্ন মনে হচ্ছে। সত্যিই আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, কিন্তু সেটা বিশ্বাস করতে পারছি না। এটাই আবেগ। মনের মধ্যে এটাই চলছে।’

উদযাপনের মধ্যমণি রোহিত, মাঝে শুয়ে আছেন, চোখেমুখে তৃপ্তির ছাপ। এমন এক ছবি পোস্ট করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রোহিত জানালেন, এটাই এখন তার মানসিক পরিস্থিতি। তিনি বলেন, ‘এই ছবিটাই বুঝিয়ে দেয় আমার মানসিক অবস্থা কী। অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু মুখে কিছুই আনতে পারছি না। ওই শনিবারটা আমার কাছে কী, সেটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। দ্রুতই আমি সেসব নিয়ে বলব। তবে এখন আমি আর সবার মতোই স্বপ্নের জগতে আছি।’

রোনালদো নাকি এমবাপে? জয়ের হাসি হাসবেন কে?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পর্তুগাল। এই ম্যাচের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদের দুই সাবেক ও বর্তমান নিজেদের সক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। অন্যভাবেও বলা যায়; রোনালদোকে আদর্শ মেনে বড় হওয়া এমবাপের এখন প্রধান লক্ষ্য নিজের আইডলকে কাঁদিয়ে নিজের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা। শুক্রবার রাতে দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অবশ্য দুই দলের দুই সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপে ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উপরই নজর থাকবে সবার।

হামবুর্গে শেষ আটের এই লড়াইয়ে ইউরোপের দুই ফুটবল জায়ান্টের মুখোমুখি হওয়ার ম্যাচে কেউই স্বস্তিতে নেই। দুই দলের কেউই এখন পর্যন্ত জার্মানিতে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের কোন খেলোয়াড়ই ওপেন প্লেতে কোন গোল করতে পারেনি। এ নিয়ে চার ম্যাচে তারা মাত্র তিনটি গোল করেছে। এর মধ্যে এমবাপে একটি করেছেন পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি হয়েছে আত্মঘাতী গোল।

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নাক ভেঙ্গে যায় ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপের। এরপর থেকে তিনি খুব একটা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছেন না। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্স গোলশূন্য ড্র করেছিল। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচটি খেলতে পারেননি এমবাপে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে ফিরে পেনাল্টি থেকে এক গোল করেন। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই এমবাপের প্রথম গোল।

অন্যদিকে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলতে ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর শ্যুট আউটে জয়ী হয়ে পর্তুগাল। গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে শেষ আট নিশ্চিত করে পর্তুগাল। অতিরিক্ত সময়ে রোনালদো পেনাল্টি মিস করায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে পেনাল্টি শ্যুট আউটের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পেনাল্টি মিস করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোনালদো।

তিন বছর আগে ইউরোর গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং পর্তুগাল। রোনালদো জোড়া গোল করলেও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল। নক আউট পর্বে যখনই এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে তখনই বিজয়ী দল শিরোপা জিতেছে। ২০১৬ ইউরো ফাইনালে পর্তুগাল জয়ী হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে মিশেল প্লাতিনির গোলে সেমিফাইনালে জিতেছিল ফ্রান্স। এবং ২০০০ সালের সেমিফাইনালে জিনেদিন জিদানের গোলে বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

যেমন হতে পারে আর্জেন্টিনার একাদশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শুরু আগামীকাল (শুক্রবার) সকালে। নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তাদের সামনে প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। 

কাকতালীয়ভাবে ২০২১ সালের আসরেও একই দৃশ্যের দেখা মিলেছিল। সেবারও কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল ইকুয়েডর। 

এবারের ম্যাচের আগে বড় প্রশ্ন ছিল আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসিকে পাবে কি না। সে প্রশ্নের জবাব মিলে গেছে। মেসিকে নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা, জানিয়েছেন গাস্তন এদুল। তার সঙ্গে আক্রমণভাগে থাকবেন লাওতারো মার্তিনেজ। 

অনুশীলনে আজ স্কালোনি তার সব খেলোয়াড়কেই পেয়েছেন, সেখানে ছিলেন মেসিও। পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে ছিলেন না তিনি। 

আর্জেন্টিনা আগের ম্যাচে অনেকটা খর্বশক্তির দল নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তবে আগামীকাল কোয়ার্টার ফাইনালে আবারও পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

আর্জেন্টিনা একাদশঃ

এমি মার্তিনেজ, মলিনা, রোমেরো, লিসান্দ্রো, তালিয়াফিকো, ডি পল, অ্যালেক্সিস, এনজো, নিকো গঞ্জালেস, মেসি, লাওতারো।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাড়ালেন টেন হাগ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গেল মৌসুমটা একদমই যাচ্ছেতাই কেটেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তারা ৮ নম্বর অবস্থানে থেকে শেষ করেছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, বেশিরভাগ সমর্থক এবং দর্শকরা ধরেই নিয়েছিলেন যে চাকরি হারাতে চলেছেন দলটির কোচ এরিক টেন হাগ। তবে সেটি তো হয়নি বরং সবাইকে অবাক করে দিয়ে কোচের মেয়াদ বাড়িয়েছে রেড ডেভিলরা। অন্তত ২০২৬ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব টেন হাগের হাতে তুলে দিয়েছে ক্লাবটি।

২০২২ সালে তিন বছরের চুক্তিতে ইউনাইটেডে যোগ দেন টেন হাগ। এসেই প্রথমে দল থেকে বাদ দেন দলের তারকা এবং সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। যা নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। তবে এরপরও নিজের সিদ্ধান্তে স্থির থেকে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন টেন হাগ। তার কারণে সে সময় ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল রোনালদো।

তার অধীনে সবশেষ মৌসুমে ভরাডুবি দেখতে হলেও নিজের মেয়াদকালে ইউনাইটেডকে দুটি শিরোপা জিতিয়েছেন টেন হাগ। তার অধীনে লিগ কাপ ও এফএ কাপ জিতেছে ইউনাইটেড। যেই সাফল্যকেই নিজেদের উন্নতির মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে ক্লাব কর্তারা। ফের তার হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে রেড ডেভিলদের ভাগ্য।

টেন হাগের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ড্যান অ্যাশওর্থে বলেন, ‘দুই মৌসুমে দুটি ট্রফি জেতার মাধ্যমে এরিক নিজেকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম ধারাবাহিক সফল কোচ হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছেন। ক্লাবের পর্যালোচনায় সর্বশেষ মৌসুমে উন্নতির জায়গা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে কারণে ক্লাব এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে এগিয়ে যেতে এবং ভালো ফল পেতে এরিকই আমাদের জন্য সেরা কোচ। এখন আমাদের আরও ধারাবাহিক হওয়া দরকার।’

বাদ পড়ার বদলে উল্টো মেয়াদ বাড়ায় বেশ খুশি টেন হাগ। বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রত্যাশার মানে পৌঁছাতে এখনো অনেক কঠোর পরিশ্রম করা বাকি, যার অর্থ, ইংলিশ ও ইউরোপিয়ান ট্রফির জন্য লড়াই করা।’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

মেসিকে খেলানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন স্কালোনি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার সকাল ৭টায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে মেসি খেলবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কেননা, গ্রুপপর্বে সবশেষ ম্যাচে চোটের কারণে মাঠে নামেননি মেসি। তাই শঙ্কা থাকছে এ ম্যাচেও। তবে আশার কথা, দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন মেসি। তবে অনুশীলন করলেও মেসির জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান প্রধান কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসিকে নিয়ে সতর্ক হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে শুরুর একাদশে মেসি খেলছেন কিনা এ নিয়ে স্কালোনি বলেন, ‘আমি এখনো তার অবস্থা নিয়ে কথা বলিনি। আমার মনে হয় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো। অবশ্যই কথা বলব; কারণ, ম্যাচের এক দিন আগে এবং (সুস্থ হয়ে উঠতে) তার পুরো সময়টাই পাওয়া উচিত। যতটা সম্ভব অনুশীলনও করে নিতে পারছে। অনুশীলনের আগে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

জুলিয়ান আলভারেজ এবং দারুণ ছন্দে থাকা লাওতারো মার্তিনেজকে একসঙ্গে দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে স্কালোনি বলেন, ‘দুজনকে খেলানো হতেই পারে। আজ ট্রেনিং সেশনে আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। ট্রেনিং সেশন শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। একসঙ্গে খেলানোর সম্ভাবনা আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না।’

এবারের কোপা আমেরিকায় বলতে গেলে আর্জেন্টিনাকে একাই টানছেন লাওতারো মার্তিনেজ। সবশেষ ম্যাচেও করেছেন জোড়া গোল। সব মিলিয়ে আসরে তার গোল সংখ্যা ৪টি। আলাদাভাবে তাই মার্তিনেজের প্রশংসা করতে ভুলেননি স্কালোনি, ‘সে এবারের কোপায় দারুণ করছে। শুধু ভালো নয়, সে সুযোগের অপেক্ষা করেছে এবং সুযোগ কাজে লাগিয়ে। এটাই আমাকে সবচেয়ে খুশি করছে।’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;