কে হবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন?
ক্রিকেট কার্নিভালএবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও হারেনি দুই ফাইনালিস্ট দল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপপর্ব, সুপার এইট, সেমি-ফাইনালে মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আটটি ম্যাচের সবগুলোতেই জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। অপরদিকে গ্রুপপর্বে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া ছাড়া বাকি সাতটি ম্যাচেই জিতেছে রোহিত শর্মারাও।
তবে আজ (শনিবার) বার্বাডোজে শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে যেকোনো এক দলের ‘অপরাজিত’ তকমা শেষ হতে যাচ্ছে। কারণ আজ ফাইনালে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ট্রফি উঁচিয়ে ধরবে যেকোনো এক দল। চলতি টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যান বিচার করলে আসরের সবচেয়ে সফল ও শক্তিশালী দল দুটিই উঠেছে ফাইনালে। ফলে জমজমাট একটি ফাইনাল ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট বিশ্ব।
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের ২৬ বছর পর এবার আইসিসির কোনো ইভেন্টে ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে এবারই প্রথমবার ফাইনাল ম্যাচের টিকিট কেটেছে তারা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ‘প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা' জিততে প্রোটিয়াদের দরকার কেবলমাত্র আর একটি জয়।
অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই শিরোপা ঘরে তুলেছিল, সালটা ছিল ২০০৭। এরপর ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন দলটি। তবে লঙ্কানদের কাছে সেবার শিরোপা খুইয়েছিল তারা। এতে আজ ১৭ বছর পর টুর্নামেন্টের ‘দ্বিতীয়’ শিরোপায় নজর রাখছে রোহিত শর্মার দলে।
আজকের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালের মঞ্চে লড়তে যাচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ আসরে সেমিতে দেখা হয়েছিল দল দুটির। সেখানে ৬ উইকেটে জিতেছিল ভারত।
২০১৪ আসরের সেই সেমিসহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। সেখানে জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে ভারত, কারণ তারা জিতেছে চারটি ম্যাচ।
বার্বাডোজে আজকের এই শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের নবম এই আসরের। কেনসিংটন ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।